আগামীকাল, শনিবার নয়াদিল্লিতে ভোটগ্রহণ। তার ঠিক আগে বৃহস্পতিবার স্বাতী মালিওয়ালের হেনস্তা কাণ্ডে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছল। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ, গত ১৩ মে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির ড্রয়িং রুমে তাঁকে হেনস্তা করেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমার। আর তখন বাড়িতেই ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল⛎। মালিওয়াল সাফ জানিয়ে দেন, আপের রাজ্যসভার সদস্যপদ ছাড়ার প্রশ্নই উঠছে না। আগে যদি রাজ্যসভার পদ চাওয়া হতো ভালভাবে তাহলে প্রাণও দিতাম। সেখানে রাজ্যসভার পদ তো ছোট ব্যাপার। এখন পৃথিবীর কোনও শক্তি পারবে এই পদ থেকে 🅺ইস্তফা দেওয়াতে। এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন স্বাতী মালিওয়াল।
সংবাদসংস্থা এএনআই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বাতী মালিওয়াল জানান, তিনি সবচেয়ে কম বয়সী সাংসদ। কখনও কোনও পদ চাননি। এমনকী নিজের ইচ্ছাও প্রকাশ করেননি। স্বাতী মালিওয়াল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আমার অসম্মান হয়েছে। আর আপ নেতৃত্ব প্রত্যেকদিন আমার চরিত্রহনন করছে। এফআইআর যেটা করেছি সেখানে একটাও মিথ্যা কথা বলিনি। প্রয়োজনে পলিগ্রাফি এবং নারকো টেস্টে বসতেও আমার আপত্তি নেই।’ মালিওয়ালের এই বক্তব্𝓰যের🥂 মধ্যেই গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে আপ।
আরও পড়ুন: আবার পাতালপথে বিভ্রাট দেখা দিল, শুক্রবারও ভোগান্ত𝄹ি থেকে নিস্তার ꦇপেলেন না যাত্রীরা
এই ঘটনা নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতির অন্দরে তোলপাড় চলছে তখন মালিওয়ালের হেনস্তা কাণ্ডে কেজরিওয়ালের মা–বাবার বয়ান রেকর্ড করতে দিল্লি পুলিশ আসবে বলে জানা যায়। তবে তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে আপ সুপ্রিমো একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। দ൩িল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘বিজেপির লড়াই তো আমার সঙ্গে। সেখানে আমার বয়স্ক–অসুস্থ মা–বাবাকেও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি এবার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’ যদিও পরে দিল্লি পুলিশ আর যায়নি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। এরপরই মালিওয়াল বলেন, ‘আমার রাজ্যসভার আসন যদি ওনার দরকার ছিল তাহলে ভালবেসে বললে আমি দিয়ে দিতাম। প্রাণ পর্যন্ত দিয়ে দিতাম। এমপি তো অনেক ছোট ব্যাপার। এখন দুনিয়ার কোনও শক্তি লেগে গেলেও আমি ইস্তফা দেব না।’