রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের গণনা এবং ফলপ্রকাশ হবে। তার আগে বাংলায় বড় ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সেখান থেকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। ইতিমধ্যেই বুথফেরত সমীক্🌜ষা প্রকাশ পেয়েছে নানা সংবাদমাধ্যমে। সেটাও একরকমের গুজব বলে মনে করেন তিনি। আজ, সোমবার ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এক্সিট পোলের নামে যে গল্প ছড়ানো হয়েছে, তাতে কেউ কান দেবেন 🍃না। এগুলি বিজেপি পরিকল্পিতভাবে করছে। এভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে গুজব। গুজবে কান দেবেন না। বাংলায় ৪২টা আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অন্তত ৩০–৩৫টা আসন পাবে।’
একদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এক্সিট পোলের তথ্য খারিজ করে দিয়েছিলেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস ৩০টির বেশি আসন পাবে বলেও দাবি করেছিলেন। এবার ভোট গণনার ঠিক আগের দিন দলীয় কর্মী–সমর্থক এবং সংগঠকদের একেবারে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার বার্তা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক🐈্তব্য, ‘সকাল থেকে মাটি কামড়ে পড়ে থাকুন। অন্য কিছুতে একদম কান দেবেন না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্য🃏োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীদেরই ভোট দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর অফিসের সামনে নগ্ন মহিলার প্রতিবাদ, ভরদুপু🅠রে আলোড়ন, উদ্ধার করল পুলিশ
এই এক্সিট পোল মানেননি স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি তাঁর। শান্তনু সেন, দেবাংশু ভট্টাচার্য, দীপক অধিকারী সকলেই প্রায় ৩০টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে বলে দাবি করেছেন। আর কুণাল ঘোষের কথায়, ‘এক একটা লোকসভায় গড়ে সাতটা বিধানসভা কেন্দ্র থাকে। ধরে নিন এমন খবর আসছে, যেখানে কিছু জায়গায় বিরোধীরা এগিয়ে বা বিরোধীরা লিড পাবে, সেগুলিকে কাউন্টিং💎 করিয়ে আগে অন্য প্রচার করার চেষ্টা চলবে। তাতে কান দেবেন না। কারণ তারপরই দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেস স🃏েসব মেকআপ দিয়ে লিড নিচ্ছে। আর কে এগল, কে পিছল, তাতে কান দেবেন না। মাঝপথে ওরা নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবে, শেষ পর্যন্ত নজর রাখুন।’
এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষা যা দেখানো হয়েছে তাতে বিজেপি অত্যন্ত খুশি। তা নিয়ে এখন নানা জায়গায় বক্তব্য রাখছেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দিনে যে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছিলেন বিরোধীরা সেটা খারিজ করে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য তুলে ধরে কুণালের দাবি, ‘বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস মুখের উপর জবাব পেয়েছে। বিরোধীরা যℱে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছিল, নির্বাচন কমিশন তা পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে। বাংলায় অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ডায়মন্ডহারবার এবং অন্যান্য জায়গায় বিরোধীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছিল। নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দিয়েছে।’