লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে ফলাফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল ঝড় অব্যাহত বাংলায়। বিজেপির জায়গা যে বাংলা নয় তা বারবার প্রমাণ হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন, পুরসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন প্রমাণ করেছে বাংলার মানুষ দিদির গ্যারেন্টিতেই ভরসা রাখছেন। এখানে মোদীর গ্যারেন্টি বা ম্যাজিক কোনওটিই কাজ করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগলবন্দীতে বাংলায় বাজিমাত করেছে তৃণমূꦇল কংগ্রেস। আর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই রাজ্যে বাড়ল উপনির্বাচনের সংখ্যা।
এই পরিস্থিতি হওয়ার কারণ হল এবার লোকসভা নির্বাচনে বহু আসনে বিধায়করা প্রার্থী হয়েছিলেন। এমনকী তাঁরা জিতেছেনও। আবার অনেকে হেরেছেন। বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু হেরেছেন বা জিতেছেন। সুতরাং বিপুল পরিমাণ বিধায়ক পদ খালি হয়েছে। সেটা শাসক–বিরোধী দু’পক্🐓ষেরই। তবে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের দুটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। আর সেই দুটি আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিধানসভার আসন বিধায়ক শূন্য হওয়ায় বেড়েছে উপনির্বাচনের সংখ্যা। মনোজ টিগ্গা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, জুন মালিয়া–সহ দু’দলেরই একাধিক বিধায়ক লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাই বেড়েছে বাংলার বিধানসভা উপনির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: ‘ফেরাতে হাল, ফিরুক লাল’ স্লোগান ব্যর্থ, জামানত জব্দ ঘাটাল–মেদিনীপুরের বাম প൩্রার্থী🌃র
এখন দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়কশূন্য অবস্থায় ཧরয়েছে। তার মধ্যে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামকে বসিরহাট থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি জয়ী হয়েছেন। রায়গঞ্জের বিধায়ক ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।ಞ তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। আবার রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন মুকুটমণি অধিকারী। তারপর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। লোকসভায় প্রার্থী হয়ে বাগদা বিধানসভার বিশ্বজিৎ দাসও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। সেখানে হার–জিৎ বাদ দিলে বিধায়ক পদ শূন্য হয়েছে। তাই প্রয়োজন উপনির্বাচন।