চলতি লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার এবং কোন বুথে মোট কত ভোট পড়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। এই নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। বিরোধীদের দাবি ছিল, বুথ ভিত্তিক মোট ভোটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তবে আদালতে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল, এই কাজ করতে সময় লাগবে। এই আবহে গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের বুথভিত্তিক মোট ভোটদান সংক্রান্ত তথ্যের হিসেব কষে ফেলার দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। (আরও পড়ুন: মোদী ফের জিতলে কোন কোনꦅ শেয়ারের দাম বাড়বে? সামনে এল বড় ভবিষ্য𓆉দ্বাণী)
আরও পড়ুন: 'এবার বাংলায় বিজেপি…', রাজ্যে লোকসভা ভোটে দলের স♐্ট্রাইক রেট নিয়ে বড় দাবি মোদীর
আরও পড়ুন: ৬২'র দখলদারি নিয়ে𝓀 বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস নেতার,পালটা 'চিনা প্রেম' খোঁচা BJP'র
গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ষষ্ঠ দফার ভোট। উত্তরপ্রদেশের ভদোই কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে। সেখানে তৃণমূলের🌺 প্রার্থঈ হয়েছেন ললিতেশ ত্রিপাঠি। ভোট সম্পন্ন হ🌱ওয়ার ৪৮ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ২৭ মে তিনি দাবি করেন, ১৭সি ফর্মের পার্ট ১-এর তথ্য সম্মিলিত করে তাঁর কেন্দ্রের বুথভিত্তিক ভোটদান সংক্রান্ত তথ্য তিনি হিসেব কষে বের করে ফেলেছেন। এই নিয়ে তিনি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'আমি আমার কেন্দ্রের সব বুথের ১৭সি ফর্মের তথ্য সংগ্রহ করে তা থেকে ভোটদানের হার কষে বের করেছি। এখন আপনাদের পালা। আপনারা ভোটদানের হার প্রকাশ করতে কত সময় নেবেন?'
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে বাংলায় কত আসন জিতবে BJP? রাজ্যে দ𒉰লের ফল নিয়ে যোগ-বিয়োগ করে যা বললেন শাহ…
উল্লেখ্য, ভদোই লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচ বিধানসভা আসন মিলিয়ে মোট ২০৪৮টি বুথ আছে। সেখান থেকে ১৭সি ফর্মের তথ্য সংগ্রহ করতে সমাজবাদী পার্টির ২১০০ পোলিং এজেন্ট এবং বুথ সভাপতিদের সাহায্য নিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ললিতেশ। এদিকে তাঁর দলের অন্যান্য প্রার্থীরাও এই একই কাজ করেছেন কি না, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ললিতেশ বলেন, 'তৃণমূলের বাকি প্রার্থীরা আমার মতো এই কাজ করেছেন কি না, তা আমি বলতে পারব না। তবে আম🐠াদের এটা বলা হয়েছিল। তাই আমি করেছি।'
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় ফিরছেন মোদী? 'অনিশ্চিত' ꧂মমতার বড় দাবি, নয়া অঙ্ক কষে বললেন...
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে, নির্বাচনের পরে প্রাথমিক ভোটের হারের সঙ্গꦦে চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশের ফারাক রয়েছে। এই আবহে দাবি ওঠে, ১৭সি ফর্মের তথ্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে বুথ ভিত্তিক ভোটদানের হার প্রকাশ করা হোক। তবে এই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিশনের পালটা যুক্তি, অবিলম্বে বুথ ভিত্তিক ভোটের হার প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, ভোটের হার সংক্রান্ত চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশে নির্বাচন কমিশন যে বিলম্ব করছে, এবং প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত তথ্যে যে ফারাক থাকছে, তার জেরে ভোটার এবং রাজনৈতিকℱ দলগুলির মনে এই পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহের উদয় হচ্ছে।