বিজেপি এখন অভিষেক বন্দ্য🍨োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারেনি। ডায়মন্ডহারবার ছাড়া এখনও আরও তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেবে নিশ্চয়ই। আর তাই প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাননি অভিষেক। তারপরও ডায়মন্ডহারবারে গি𝔍য়ে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি সাজাচ্ছেন তিনি। টানা তিনদিন সেখানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। আর এই পরিস্থিতি ঢাকতেই পাল্টা অভিষেককে নিশানা করলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আজ, শুক্রবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বর্ধমান–দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই অভিষেককে নিশানা করেন তিনি।
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে মার্জিন বাড়ানোর লক্ষ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করছেন। এই বিষয়টিকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখনও প্রতিপক্ষ ঘোষণা হয়নি। বিজেপি প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি। আর তাতেই🌼 এত টেনশন নেওয়ার কী আছে। উনি যেভাবে মার্জিন বাড়ান বা ভোট কেনেন, সবাই জানে। আমার মনে হয় ইলেকশন কমিশন এবং༺ আরও বাকিরা যারা আছে, তারা যা প্রস্তুতি নিচ্ছে তাই চাপে আছেন তিনি। দেখা যাক, ইলেকশন এখনও দেরি আছে।’ অভিষেক এখান থেকে দু’বারের সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও দলই প্রার্থী দেয়নি। সেটাই নাকি টেনশন অভিষেকের বলে দাবি দিলীপের।
আরও পড়ুন: সিএএ 𝄹ইস্যু ব্যুমেরাং হতে পারে, চাপে পড়ে ইস্যু বদল করল বিজেপি, প্♏রচারে এল কী?
এখন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘বাঙালি সম্পর্কে অনেকে অনেক কিছু বলে থাকে। আগেও বলেছে। আমার মনে হয় বাঙালিরা, আমরা নিজেরাই দায়ী। বাইরের লোক বললে সেন্টিমেন্টে লাগে। বাংলায় যে রাজনীতি চলছে, যে দুর্নীতি চলছে, তারপরেও বাঙালি যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করছে ক💮েউ বলবে। মদ কারা খায় না, বাঙালি কি খায় না? সন্ধ্যার পর পাড়ায় পাড়ায় পার্টি অফিসে মদের ফোয়ারা চলছে। বাইরের লোক বললে যদি কষ্ট হয় তাহলে বন্ধ করুন। ইমেজ খারাপ কে করেছে আজকে? স্কুলে পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, নার্স নেই,ꦑ ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। থানা তোলাবাজির জায়গা হয়ে গিয়েছে।’
এরপর যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন সায়নী ঘোষ। এই ইস্যুতেও আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মহুয়া মৈত্র ইস্যুতেও কড়া জবাব দিয়েছেন। দিলীপের বক্তব্য, ‘অনির্বাণদার বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই। উনি তো বিজেপির প্রার্থী, বিজেপি বলেই ওঁকে মানুষ ভোট꧃ দেবে। উনি কী? কার কী কালচার বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল মানে সন্দেশখালি।’ সায়নী ঘোষকে এভাবেই আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। আর মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে দিলীপের কটাক্ষ, ‘উনি রাজা, কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলার রাজাদের মধ্যে এখনও সবচেয়ে পপুলার। তাঁকে নিয়ে এখনও মজা, গান, নাটক হয়। নদিয়ায় তাঁকে নিয়ে ঘটনা অনেক প্রচলিত। তার গান অনেক প্রচলিত। তাই তাঁকে প্রশংসা করেছেন। কারও সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাতে তো আপত্তির নেই। উনি যে অযোগ্য ছিলেন বা রাজা হিসেবে কিছু করেননি সেটা তো বলা যাবে না।’ অর্থাৎ রাজা রামমোহন রায় এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তা নিয়ে মহুয়া প্রশ্ন তুলে দেন। যার জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।