লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন দার্জিলিং থেকে প্রার্থী হবেন হর্ষবর্ধন। কিন্তু সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে রাজু বিস্তﷺাকে। তিনিই সাংসদ ছিলেন। তাহলে কেন দেখা গিয়েছিল হর্ষবর্ধনকে? বাংলায় প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, শীঘ্রই পাহাড় সমস্যার সমাধান হবে। প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলাকে সম্ভবত তাই এখানে পাঠানো হয়েছিল। এই বিষয়ে হর্ষবর্ধন আজ বলেন, ‘পাহাড় সমস্যার সমাধানের খুব কাছে চলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর🐼 উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’ তবে কতটা কাছে চলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি।
তাহলে কি আবার পৃথক গোর্খাল্যান্ডের আওয়াজ উঠবে? এই প্রশ্ন যখন ওঠে তখন এই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে দৌড়ে বেড়াচ্ছিলেন শ্রীংলা। তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও পাহাড় জুড়ে ছুটছেন তিনি। পাহাড়ের কোন সমস্যার সমাধান করতে ছুটছেন? সেটা তিনি খোলসা করে বলছেন না। তবে হর্ষবর্ধনের বক্তব্য, ‘আগামী দিনগুলিতেও দেশের কাজই করে যাব। দার্জিলিং–শিলিগুড়ি এলাকায় আর্থ–সামাজিক প্রেক্ষিতে দুর্বল মানুষজনের জন্য এ𝔍কাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা, পর্যবেক্ষণ এবং বাস্তবায়ন করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’ বিজেপি নেতারা প্রায়ই বলে থাকেন উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্য হবে। আবার কেউ বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে। এসবের মধ্যে শ্রীংলার উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: পার্থ–জ্যোতিপ্রিয়কে আবির মাখাꩲতে গেলেন বন্দিরা, খেপে ফায়ার প্রাক্তন দুই মন্ত্রী
লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে নেমে পড়েছেন। আর বিজেপির প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি হর্ষবর্ধনের। তারপরও তিনি ওখানে আছেন কেন? এই প্রশ্নও অনেকে তুলছেন। শ্রীংলা জানান, উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়ন করার কাজ করতে গেলে কোন💃ও সাংবিধানিক পদের প্রয়োজন হয় না। ইচ্ছে থাকলে পদে না থেকেও কাজ করা সম্ভব। তাঁর কথায়, ‘২০১৪ সালে দার্জিলিং ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলেছি। ইতিমধ্যেই তার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। বিকশিত দার্জিলিং গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এখানে বিনিয়োগ টেনে আনা এবং রুগ্ণ চা বাগানগুলিকে চাঙ্গা𓆏 করার পাশাপাশি পাহাড়ের যুবশক্তির চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাব।’