সিপিএম–কংগ্রেস জোট করে ফেলেছে। ফলে আমে দুধে মিশে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তাই আঁটি হয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে আইএসএফ। এভাবে জোটের পিন্ডি চটকে যাওয়ায় বেজায় ক্ষেপেছে আইএসএফ। তাই তারা পাল্টা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে চলেছে। গত ২১ মার্চ প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বাম–কংগ্রেসকে বুঝিয়ে দেয় তারা একা চলবে। কিন্তু তাতে বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি দু’পক্ষের। কিন্তু ৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালি༺কা প্রকাশ করতেই বাম–কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। কেমন করে কমব্যাট করা হবে আইএসএফকে? এই প্রশ্নে যখন আলোচনা চলছে তখন আজ, ১৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল আইএসএফ। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে বাম–কংগ্রেসের।
এদিকে আজ, শনিবার ফুরফুরা শরিফে সাংবাদিক সম্মেলন করে চারটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। সুতরাং প্রথম দু’দফা এবং এখনকার মিলিয়ে মোট ১৩টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল আইএসএফ। শুধু তাই নয়, বাকিগুলিও কদিনের মধ্যেই তারা ঘোষণা করে দেবে। সুতরাং আইএসএফ ভোট কাটবে বা🎉ম–কংগ্রেসের। তাহলে আখেরে লাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। আজ ঘোষিত প্রার্থী তালিকা হল, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শাহজাহান বিশ্বাস। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দীপক মজুমদার। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আফরোজা খাতুন (মণ্ডল)।
আরও পড়ুন: নববর্ষের মিড–ডে মিলে বড় চমক,🧜 পড়ুয়াদের পা🐈তে পড়বে ফ্রায়েড রাইস–মাংস, আর কী?
অন্যদিকে বামফ্রন্ট ভেবেছিল এই লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোট ফেরাবে। আর সংখ্যালঘু ভোট টানবে। সেখানে আইএসএফ একের পর এক কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে শুরু করেছে বলে সেটা কতটা সফল হবে তা নিয়ে চিন্তিত বামেরা। আইএসএফের হয়ে মালদা উত্তর কেন্দ্রে লড🔯়ছেন মহম্মদ সাহেব, জয়নগর থেকে মেঘনাদ হালদার, মুর্শিদাবাদ থেকে হাবিব শেখ, বারাসত থেকে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট থেকে মহম্মদ শহিদুল ইসলাম মোল্লা, মথুরাপুর থেকে অধ্যাপক অজয় কুমার দাস। ঝাড়গ্রাম থেকে অধ্যাপক বাপি সরেন। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফের প্রার্থী করা হয়েছে শাহরিয়ার মল্লিককে। সুতরাং এখন জোট ছ🌺েড়ে একলা চলো রে।
বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আইএসএফকে গুরুত্ব না দেওয়ায় আজ এমন দিন দেখতে হচ্ছে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও তাই💧। বিজেপির কাছে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক যেটা যাওয়ার কথা ছিল সেখানেও থাবা বসাবে আইএসএফ। আর এই তিন দলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসালে আইএসএফ বিরাট লাভবান হবে না। বরং তৃণমূল কংগ্রেস বাড়তি সুবিধা পাবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক আছে। যেটা কোনওদিকে যাবে না। আর এই কাটাকাটির খেলায় প্রথম স্থানে উঠে আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন দেখার দ্বিতীয় স্থানে কোন দল আসে। ডায়মন্ডহারবারে আইএসএফ প্রার্থী করেছে আইনজীবী মজনু লস্করকে। যাদবপুরে আইএসএফের টিকিটে লড়ছেন নূর আলম খান। বালুরঘাট, উলুবেড়িয়া, ব্যারাকপুরেও প্রার্থী করেছে আইএসএফ।