এলাকায় কাজ করতে পারা যাচ্ছে না। এমনই অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কাউন্সিলর। আর তাই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে বসলেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দু’দিন ধরে একই জায়গায় সত্যাগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সত্যাগ্রহ করছেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে। প্রায় ৪২ ঘণ্টা ধরে ধরনায় বসে আছেন মোনালিসা। দলের প্রভাবশালী অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধরনায় বসলেন ৪৯ নꦜম্বর ওয়ার্ডের তৃﷺণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে তাঁর ‘সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ খোলেনি।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের কোন্দলে তপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক ময়দান। গত শুক্রবার রাতে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কার্যালয়ের বাইরে ধরনায় বসেন কাউন্সিলর। বিদায়ী সাংসদের হস্তক্ষেপে তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে কাউন্সিলর আমরণ অনশন শুরু করেছেন। কারণ সমস্যার সমাধান হয়নি। মোনালিসার𝔍 অভিযোগ, তাঁকে অন্ধকারে রেখে তাঁরই ওয়ার্ডে সুদীপবাবুর নির্বাচনী কার্যালয় খুলেছেন স্থানীয় নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ওয়ার্ডে সুদীপের নির্বাচনী কার্যালয় খুলেছেন তিনি। তার পাশেই বিকল্প একটি নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকছেন বিদায়ী সাংসদের ঘনিষ্ঠরা। আর সাংসদ–বিধায়ক সব জেনেও চুপ।
আরও পড়ুন: ♌প্রাথমিক নিয়োগে বড় কেলেঙ্কারি ধরল সিবিআই, অসাধু চক্রের তথ্য কলকাতা হাইকোর্টে
অন্যদিকে মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা আছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে তা চলছে। আজ, বুধবার তাঁকে দেখা গেল সুরেন্দ্রনাথ কলেজের উল্টোদিকের রাস্তায়। সেখানে অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরাও যোগ দিয়েছেন। মোনালিসার অভিযোগ, ‘স্থানীয় কাউন্সিলরকে অন্ধকারে রেখে এলাকায় নির্বাচনের কাজ হচ্ছে। এমনটা কখনও সম্ভব! শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দেওয়া 💛হচ্ছে। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে। ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নেতাকেই দেখা যাচ্ছে সুদীপবাবুর পাশে।’
এছাড়া এই ঘটনার কথা পৌঁছে গিয়েছে💞 তাপস রায়ের কানে। এখন তিনি বিজেপির উত্তর কলকাতার প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘একজন নয়, একাধিক কাউন্সিলর উত্তর কলকাতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ক্ষুব্ধ।’ এই মন্তব্যের পাল্টা শশী পাঁজার বক্তব্য, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিজেপি নেতাদের নাক না গলালেও চলবে। তাঁরা নি🦋জেদের বিষয়গুলি দেখুন।’ মোনালিসার কথায়, ‘আমি তিনদিন ধরে বলে যাচ্ছি যে কাজ করতে বাধা পাচ্ছি। কয়েকজন ব্যক্তি কাজে বাধা দিচ্ছে। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কি উত্তর কলকাতার বাইরে? এখানের রেজাল্ট যদি খারাপ হয় তাহলে তো কাউন্সিলরকেই জবাব দিতে হবে। আমি অনেক মিটিংয়ে বলেছি একসঙ্গে কাজ করা উচিত। কিন্তু কয়েকজনের জন্য সেটা হচ্ছে না।’