ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এবার লাভ জেহাদের প্রসঙ্গ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঝাড়খণ্ডের দুমকাতে বিরাট সভা করেন মোদী। বিজেপি প্রার্থী সীতা সোরেনের সমর্থনে সেই সভা। সেখানেই তিনি এই লাভ জেহাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গেই দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলেও তির ছোঁড়েন তিনি। সভা থেকে ইন্ডিয়া ব্লককে নিশানা করে তির ছোঁড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের বসতে মদত দিচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন আদিবাসীরা। সেই সঙ্গেই আদিবাসী মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও বিরাট প্রশ্ন উঠছে।সেই সঙ্গেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকেও একহাত নেন তিনি। মোদী বলেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এই অনুপ্রবেশকারীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। এসব করতে গিয়ে তারা আদিবাসীদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছেন। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে একটা বড় সংকট দেখা দিচ্ছে। সেটা হল এই অনুপ্রবেশ। তিনি বলেন, সাঁওতাল পরগনা অনুপ্রবেশের সমস্যায় ভুগছে। বহু জায়গায় দেখা যাচ্ছে যে আদিবাসী মানুষদের সংখ্য়া ক্রমশ কমছে। ওই অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিচ্ছে। আদিবাসীরা কন্যাদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাদের সুরক্ষা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠছে। তাদের জীবনও আজ বিপন্ন। তিনি এদিন বার বার আদিবাসী মহিলাদের জীবনের বিপন্নতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আদিবাসী কন্যাদের টুকরো টুকরো করে ফেলা হচ্ছে। তাদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারোর জিহ্বাও ছিঁড়ে নেওয়া হচ্ছে। এরা কারা যারা আদিবাসীদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দিচ্ছে। কেন জেএমএম তাদেরকে মদত দিচ্ছে? সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাভ জিহাদের ব্যাপারটা তুলে আনেন। সেই সঙ্গেই তিনি ইন্ডিয়া জোটকে বার বার বিদ্ধ করেন। তোষামোদের রাজনীতি, সন্ত্রাসবাদী ও অনুপ্রবেশকারী সুরক্ষার দেওয়ার কাজটা তারা করছে। সেই সঙ্গেই যারা হিন্দু ও মুসলিমের মধ্য়ে ভাগাভাগি করছে তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ান মোদী। দলিত, আদিবাসীদের স্বার্থ বিপন্ন করে ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি করার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলেন মোদী। সেই সঙ্গেই দ্রৌপদী মুর্মুর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। সেই সময় রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থী হিসাবে একজন আদিবাসী নারী বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস তা নিয়েও অভিযোগ তোলা হয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। সেই সঙ্গেই তিনি অভিযোগ করেন যে যে পরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে উন্নয়নের জন্য় পাঠানো হয় সেই টাকাকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয় বলে দাবি করেছেন মোদী।