আগামী শুক্রবারের (১৫ মার্চ) মধ্যেই দুই নির্বাচন কমিশনারের শূন্যস্থান পূরণের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অরুণ গোয়েল ইস্তফা দেওয়ায় এবং অনুপচন্দ্র পাণ্ডের অবসরের ফলে যে দুটি পদ ফাঁকা হয়েছে, তা পূরণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ জনের একটি তালিকা করবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটি। যে൲ কমিটিতে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, কর্মিবর্গ দফতরের সচিবও। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে বুধবার বা বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্⭕বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটি। নয়া দুই নির্বাচন কমিশনারের নাম নির্ধারণ করা হবে। তারপর সেই নাম যাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তিনিই দুই নয়া নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করবেন। শুক্রবারই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে বুধবার বা বৃহস্পতিবারের বৈঠকের জন্য শনিবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আর সে꧟দিন সন্ধ্যায় গোয়েলের ইস্তফা নিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। সেই নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৭ মার্চ যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, সেটা ১৩ মার্চ বা ১৪ মার্চ করবে মোদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি। আদতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুপ অবসর নেওয়ায় নয়া নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করার জন্য ৭ মার্চ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তারইমধ্যে গোয়েল ইস্তফা দেন। ফলে একেবারে দুটি শূন্যস্থান পূরণের জন্য মোᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে বলে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যে কমিটিতে আছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই দু'জন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। যদিও সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি।
কিন্তু যে গোয়েলের আচমকা ই꧋স্তফার পরে শেষমুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা কিছুটা হেরফের হয়ে গিয়েছে, তিনি কেন পদ ছেড়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই ১৯৮৫ ব্যাচের পঞ্꧃জাব ক্যাডারের আইএএস অফিসার ২০২২ সালের নভেম্বরে নির্বাচন কমিশনে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২৭ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর কমিশনে থাকার কথা ছিল। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে রাজীব কুমার অবসর গ্রহণ করলে গোয়েলেরই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল।
সেই পরিস্থিতিতে কেন ইস্তফা দিয়েছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি গোয়েল। তবে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিতে পারেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের তত্ত্বও খারিজ করে দিয়েছে ওই মহল। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজেপির নেতা ও তাঁর বসের চাপের মཧুখে মাথানত করেননি গোয়েল।
আরও পড়ুন: Who is Arun Goel: লোকসভা ভোটের আগে পদত্যাগ নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে, কে꧋ এই অরুণ গোয়েল?