আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন দুই 'স্টার' মন্ত্রী এস জয়শংকর এবং নির্মলা সীতারামন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কর্ণাটক থেকেই টিকিট দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তবে অন্য কোনও রাজ্য থেকেও তাঁদের দাঁড় করানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সোমবার কর্ণাটকের হুব্বালিতে তিনি বলেন, ‘কর্𝔉ণাটক বা অন্য কোনও রাজ্যের কোনও লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করতে পারেন এস জয়শংকর এবং নিরꦇ্মলা সীতারামন। কোন আসন থেকে তাঁরা লড়বেন, সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জয়শংকর এবং সীতারামন অবশ্য লড়াই করেননি। দু'জনেই রাজ্যসভার সদস্য। গুজরাট থেকে জিতে রাজ্যসভায় এসেছেন জয়শংকর। আর সংসদের উচ্চকক্ষে কর্ণাট♉কের প্রতিনিধিত্ব করেন সীতারামন। তবে এবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ꩵণ মন্ত্রীকে যে ভোট পরীক্ষায় নামানো হচ্ছে, তাতে কার্যত সিলমোহর পড়ে গেল।
বিশেষত এমন একটা সময় সেই বিজেপি সেই পথে হাঁটতে চলেছে, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদ বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে লোকসভা নির্বাচনে হারের ভয়ে অনেকে রাজ্যসভায় চলে যেতে চাইছেন। সেই পরিস্থিতিতে জয়শংকর ও সীতারামনকে রাজ্যসভা থেকে লোকসভা ভোটের ময়দানে এনে বিজেপি নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফুটিয়ে তুলছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। ওই মহলের ধারণা, চলতি মাসের শেষের দিকে বা মার্চের গোড়ার দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠ🅺কে যে ১০০টি আসনের প্রার্থীতালিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে, তাতে জয়শংকর এবং সীতারামনের ভাগ্যও নির্ধারিত হতে পারে।
এমনিতে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে যে দ্বিতীয় মোদী সরকারের অন্যতম টপ 'পারফর্মার' হলেন জয়শংকর এবং সীতারামন। করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর অন্যতম কাণ্ডারী হিসেবে সীতারামনকে তুলে ধরা হয়। আর জয়শংকরকে তো ‘স্টার’ হিসেবে দেখাই হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই তাঁর কোনও না কোনও ভাষণ ভাইরাল হয়𒀰ে যায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁকে নয়া ভারতের ‘মুখ’ হিসেবে তুলে ধরা হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
কর্ণাটকে বিজেপির জোট
এমনিতে কর্ণাটকে জনতা দলের (সেকুলার) সঙ্গ🌼ে জোট বেঁধে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রধান বিওয়াই বিজয়েন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, কর্ণাটকের ২৮টি আসনেই লড়াই করছে জেডিএস এবং বিজেপি জোট। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য থেকে ২৮টি আসনেই জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপানো হবে।
তারইমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে পাঁচটি রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে শন🧸িবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের লোকসভা আসনগুলিতে প্রস্তুতি নিয়ে ♔আলোচনা চলেছে বলে সূত্রের খবর। যে বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) বিএল সন্তোষও।