রাজ্যের লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে বিষ্ণুপুরে নির্বাচনী লড়াই বেশ জমজমাট। এই আসনে একদিকে যেমন বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ, অন্যদিকে তাঁর বিপক্ষে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দুই নেতা নেত্রীর বাগযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এℱকে অপরকে খোঁচা দিয়ে চলেছেন প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী। আর এবার তৃণমূলের চামড়া তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সৌমিত্র খাঁ। প্রতিবারের মতোই অবশ্য তার পালটা দিতে দেরি করলেন না সুজাতা। তিনিও সৌমিত্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দাসে মহিলা নি💎য়ে তৃণমূল নেতার উদ্দাম নৃত্য, সুজাতা-সৌমিত্রের তরজা তুঙ্গে
আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ হবে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই সেখানে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থী দুজনেই। এখন পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। শুক্রবার ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল এবং সুজাতা মণ্ডলকে তীব্র আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি সুজাতাকে আক্রমণ করে বলেন, বড়জোড়ার বিধায়কের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হবে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল প্রার্থী ওই বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়কে আর গুরুত্ব দেবেন না বলেও কটাক্ষ করেন সৌমিত্র।
বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ৪ জুন ভোটের ফলাফলের পর তৃণমূলের কাউকে দেখা যাবে না। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, বিষ্ণুপুর লোকসভায় তৃণমূলের কোনও দাদাগিরি চলবে না। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের কেউ দ🧸াদাগিরি করলে চামড়া তুলে দ꧑েওয়া হবে।
সৌমিত্র খাঁয়ের এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই অবশ্য প্রতিবারের মতো প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি সুজাতা মণ্ডল। তিনি জানান, লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার পরཧ থেকেই তৃণমূলকে বারবারই হুঁশিয়ারি, হুমকি দিচ্🐬ছেন সৌমিত্র। তবে তৃণমূলও যে চুপ করে বসে থাকবে না সে বিষয়টিও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সুজাতা।
তাঁর বক্তব্🐠য, সৌমিত্র খাঁ কখনও হাত-পা ভেঙে দেওয়া, চোখ উপড়ে নেওয়া আবার কখনও কোমর ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন। বিজেপির নেতাদের মুখেই এসব কথা মানায় বলে দাবি করেন সুজাতা। একইসঙ্গে চামড়া তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসুন আমাদের নেতারা পিঠ খুলে বসে আছেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে সৌমিত্রর হয়ে দুটি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন সুজাতা মণ্ডল। তারপর সৌমিত্রর হয়ে প্রচারে নেমে ছিলেন। সেই সময় আদালতের নির্দেশে লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়া নিষেধ ছিল সཧৌমিত্রর। তখন সুজাতাই তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন।