ক্ষোভ স্তিমিত। সত্যাগ্রহ থামল। একটা কনফারেন্স কল। তারপরই অনশন প্রত্যাহার করলেন উত্তর কলকাতার কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের মুন্সিয়ানায় অনশন 🌌প্রত্যাহার করলেন মোনালিসা। আজ, শনিবার সত্যাগ্রহের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে কুণাল উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কাউন্সিলরের কথা বলিয়🧸ে দেন। আর এই কনফারেন্স কল চলাকালীনই দলীয় কাউন্সিলরকে ভোটের দায়িত্ব দেন সাংসদ। আর তারপরই ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অভিমান এক লহমায় উধাও। নির্বাচনের দায়িত্বই তো চেয়েছিলেন মোনালিসা। সেটাই পেলেন।
আর কুণাল ঘোষ প্রমাণ করলেন কোনও সমস্যাই সমস্যা নয় যদি সমাধানের সদিচ্ছা থাকে। তার সঙ্গে এই আন্দোলনকে ইস্য👍ু করে বিজেপি ফায়দা তুলবে ভেবেছিল। তাদের বাড়া ভাতে ছাই দিলেন কুণাল ঘোষ। টানা ১০০ ঘণ্টা অনশন করেছেন মোনালিসা। তবে ভাঙলেন অনশন। কুণাল ঘোষের হাত থেকে ওআরএস জল খেয়ে অনশন প্রত্যাহার করলেন ‘বিদ্রোহী’ মোনালিসা। 🍸তবে তৃণমূল কাউন্সিলের কথায়, ‘ইস্যুগুলি পুরোপুরি সমাধান হয়নি। আমরা নির্বাচনটাকে যাতে ভালভাবে যাতে করতে পারি, তাই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঞ্চটা এখনও থাকবে। ইস্যুগুলি এখনও মেটেনি। ইস্যুগুলি নিয়ে আবার কথা হবে নির্বাচনের পর।’
আরও পড়ুন: ‘তিন কেন্দ্রে বাংলার মা–বোনেরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে🧸ছেন’🧸, দাবি করলেন অভিষেক
এদিকে অনশন আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে একটি নির্দিষ্ট ইস্যুতে। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নতুন নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হয়। কাউন্স✅িলরের বক্তব্য, বহুদিন ধরে এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয় আছে। সেখানে হঠাৎ করে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কাউন্সিলরকে অন্ধকারে রেখে রাতারাতি নতুন কার্যালয় খোলা হয়েছে। আর সেখানে যাঁরা আনোগোনা করছেন কোনওদিন তাঁদের এই এলাকায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। আর তাঁকে নির্বাচনী কাজ থেকে সরিয়ে রাখা হয়। এই নিয়ে বিবাদ। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মোনালিসার দাবি💦 অস্বীকার করার নয়। কিন্তু এখন নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিরন্তর প্রচার করছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিয়ারিং কমিটির প্রেসিডেন্ট মোনালিসাকেই করবেন। সুদীপবাবুর প্রচার মোনালিসাই আয়োজন করবেন।’
অন্যদিকে আজ, শনিবার সমস্ত মান–অভিমান মেটাতে সশরীরে ধরনা মঞ্চে হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেসের নে𝓰তা কুণাল ঘোষ। আর অভিমানী কাউন্সিলরকে গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন কুণাল। এমনকী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তিনি। তারপরই সুদীপবাবু দায়িত্ব দেন মোনালিসার উপর। হাসির মধ্যেই মিটে যায় ক্ষোভ, অভিমান। সাংসদের সঙ্গে কথা বলে খুশি মোনালিসা। ভোটে প্রচারের দায়িত্ব দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎক্ষনাৎ অনশন প্রত্য়াহার করেন মোনালিসা।