লোকসভা ভোট ঘনিয়ে আসছে। তার আগেই দেশের ১৫টি রাজ্যের মোট ৫৬টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আজ এই ৫৬টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার পাঁচটি আসনও। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ৫৬টি আসনের ভোটগ্রহণ হবে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ৫০টি আসনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ এপ্রিল। আর দুই রাজ্যের ৬টি আসনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে ৩ এপ্রিল। (আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখায় চালু ফার্স্ট ক্লাস কামরার লোকাল ট্রেন, নয়া কোচে আꦿছে কী কী সুবিধা?)
আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির 'সংঘাত' প্রসঙ্গে কী বলল সুপ্রিম 😼কো𝐆র্ট?
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও যে সব রাজ্যগুলিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, 🐼উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ। এদিকে জানা গিয়েছে, ২ এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হবে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী ও শান্তনু সেনের। এছাড়া বাংলা থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য অভিষেক মনু সিংভিরও মে﷽য়াদ শেষ হবে সেদিন। এই সবকটি আসনেই ভোটগ্রহণ হবে ২৭ তারিখ।
আরও পড়ুন: বিহারের ২ উপমুখ্যমন্ত্রী 'নীতীশ বিরোধ🌊ী', NDA-🔴তে ফিরিয়ে নীতীশকে কোন বার্তা BJP-র?
এদিকে তৃণমূল চার আসনে একই প্রার্থী দেবে কিনা কিন্তু তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সূত্রের খবর, দুটি আসনে প্রার্থীর বদল হতে পারে। এছাড়া অঙ্কের নিরিখে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভির পুনর্নিবাচিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ খাতায়কলমে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। এছাড়া অন্য দল থেকে আসা বিধায়ক মিলিয়ে সেই সংখ্যা ২২৫। এই আবহে তৃণমূলের চারটি আসনে জয় নিশ্চিত। তবে একটি আসনে প্রার্থী দিতে পারে বিজেপি। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যসভা নির্🍌বাচন ঘিরে বাংলার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: 'শুধুমাত্র☂ শুভেন্দুই...', লোকসভা ভোটের আগে ডিএ আন্দোলনকারীদের 🧔কথায় কোন সুর?
এর আগে গতবছর রাজ্যসভার ছয় আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠি হয়েছিল এবং একটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে তৃণমূল রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, সমিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বড়াইককে। আর উপনির্বাচনের মাধ্যমে সাকেত গোখলেও রাজ্যসভা সদস্য হয়েছিলেন গতবার। সমিরুল সমাজকর্মী এবং প্রকাশ উত্তরবঙ্গের নেতা। এরা দু'জনেই সংসদীয় রাজনীতিতে 🧔নয়া মুখ। এবারও তৃণমূল দু'টি আসনে 'চমক' দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে অভিষেককে যদি কংগ্রেস ফের দাঁড় করায়, তাহলে তৃণমূলের সমর্থন মিলবে বলে মনে হয় না। লোকসভা ভোটের আগে আসন বণ্টন নিয়ে দুই দলের তাল কেটেছে। মমতা একলা চলার ডাক দিয়েছেন। এই আবহে 'সুসম্পর্ক' থাকলেও অভিষেক মনু সিংভিকে হয়ত সমর্থন করবে না তৃণমূল। আর তা জেনে নিয়ে হয়ত কংগ্রেস তাঁকে নাও দাঁড় করাতে পারে। এই আবহে বিজেপি রাজ্যসভায় কাকে পাঠানোর চেষ্টা করতে পারে, সেদিকে নজর থাকবে অনেকের। গতবার বিজেপি বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন গ্রেটার কোচবিহারের দাবি জানানো নেতা অনন্ত মহারাজকে।