বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক স্লোগান–ব্যঙ্গ–আক্রমণ। আর তাতেই তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। এখন সবাই বলতে শুরু করেছে খেলা হবে। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সবাই কথায় কথায় এই স্লোগানকে তুলে ধরছে। আর এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে শুধু꧃ খেলা নয়, এবার খেলা হবে আরও ভয়ঙ্কর বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ভাঙা পায়েই খেলা হবে। বিಞজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, জোর খেলা হবে। আর তার মধ্যেই বাঁকুড়ার রানীবাঁধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডির সমর্থনে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘খেলব। আরও ভয়ঙ্কর খেলব। ঘরে ঘরে খেলব, চারজন মিলে খেলব।’ ♓বিজেপির অভিযোগ, এই খেলা হবে বলে শাসকদল প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিও এই স্লোগান ব্যবহার করছে। তাহলে তারাও কী হুমকি দিচ্ছে?
এদিন নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘পারলে আটকে দেখাক। এই মাটিতেই খেলব, সবার সঙ্গে খেলব।’ এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার যে, খ🧸েলাটা হবে বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে। তবে কেমন খেলা হবে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য কেউ করেননি। আজ পুরুলিয়ায় অবশ্য প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ‘দিদি বলছেন খেলা হবে, আমরা বলছি চাকরি, বিকাশ হবে।’ খেলা বন্ধ করে দেওয়া💝 হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে উﷺদ্দেশ্য করে অনুব্রতর প্রশ্ন, ‘নরেন্দ্র মোদী ৮ বছর হল মসনদে, তবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসতে পারছেন না। কারণ তিনি জোচ্চোর।’ এই মন্তব্য নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জোচ্চোর যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তিনি বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনীতির চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।