শনিবার রাজ্যের পাঁচটি জেলার ৪৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তার মধ্যে ছিলহাওড়া জেলার ন'টি বি💞ধানসভা কেন্দ্রও। এই জেলায় বিজেপি—তৃণমূলের হেভিওয়েটদের সম্মুখ-সমরে যুদ্ধ। সেজন্য ভোট বাংলায় এই ন'টি আসনের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচন ঘিরে ভোটের দিন সকালে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই আশঙ্কা সত্🎐যি করে এলাকায় পড়ল বোমা। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়িতে। অভিযোগ, সকালে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়ে যায় এলাকায়। তার জেরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। একই সঙ্গে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া ওয়াটকিংস লেন ও ডফসনস লেন এলাকাতেও যথেচ্ছ বোমাবাজি শুরু꧒ হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের বক্তব্য, ভোটাররা বুথের বাইরে লাইন দিতেই এলাকার একটি আবাসন থেকে পরপর বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়া হয়। ভোট শুরুর পরমুহূর্তেই বোমাবাজির ঘটনায় ভোটার🅰রা আতঙ্কে বাড়ি চলে যান। স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকার ভোটারদের ভয় দেখাতেই বোমাবাজি করা হয়। যদিও কারা বোমা ছুড়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আবাসনের ভিতর বোমা নিয়ে কীভাবে কেউ ঢুকল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার জেরে তৃণমূলের তরফে বিজেপির দিকে আঙুল তোলা হলেও, গেরুয়া শিবির তা অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, সকালে বেলুড়ের লালবাবা কলেজেও অশান্তি শুরু হয়। সেই অশান্তির জেরে বিজেপি—তৃণমূল দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পাশাপাশি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি ন🐻িয়ন্ত্রণে আনে। বালি বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৪ নম্বর বুথটি রয়েছে লালবাবা কলেজে। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই সেখানে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। বিজেপির অভিযোগ, বুথে তাঁদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে মক পোলিং চলছিল। সেইসময় ইভিএমে সমস্যা ধরা পড়ে। সেবিষয়ে প্রশ্ন তুলতেই ঝামেলা শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তড়িঘড়ি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে। দু’পক্ষকেই বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বালি বিধানসভা কেন্দ্রে🅠র আরও কিছু বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে না—দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী বৈশালী ডালমিয়া। আবার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।