ভোটের পরেও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত। দুবরাজপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর হয়েছে। আহত হয়ে আরও ৯ জন তৃণমূল কর্মী এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে মুক্তিনগর গ্রামে পরিকল্পিত হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সকালে গ্রামে গিয়ে আহত তৃণমূল কর্মীদের উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিতে শুরু করেছে।অন্যদিকে দুবরাজপুরের পাঁচড়া গ্রামে একটি তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীকে আটক করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই এক-একটি গ্রাম দখল করে হামলা চালাচ্ছেন। যদিও যাবতীয় হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।উল্লেখ্য, গত ২ মে ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির খবর সামনে এসেছে।রাজনৈতিক হিংসায় বলি হয়েছে দুই পক্ষেরই একাধিকজন। ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।যদিও তা নিয়ে কম রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়নি। এনিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে ২৪ ঘণ্টাও হয়নি।এরইমধ্যেই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হল, চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হল। অন্য সময় তো পাঠানো হয় না।