বিজেপি এবং ত়ৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার রাতে ধুন্ধুমার বাঁধল চেতলায়। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চলে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়িতে। ঘটনার প্রতিবাদে দু'পক্ষই চেতলা মোড় অবরোধ করে। একইসঙ্গে দু'পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বৃহস্পতিবার চেতলায় রুদ্রনীল ঘোষের একটি প্রচারের ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। প্রতিবাদে একপ্রস্থ বিক্ষোভ চলে। তারপর বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা চেতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসার সময় পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের একটি দল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মুখোমুখি এসে পড়ে। শুরু হয় অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। এক অপরের উদ্দেশে স্লোগান-পালটা স্লোগান উঠতে থাকে। যা সংঘর্ষে গড়ায়। তার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চেতলা মোড়। দু'পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দফায় দফায় উভয়পক্ষই রাস্তা অবরোধ করে। ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীলের অভিযোগ, প্রচার সেরে ফেরার পথে বন্দুক, লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়েছে ‘তৃণমূলের গুন্ডারা’। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের সংখ্যা প্রায় ২৫০ ছিল বলে দাবি করেছেন রুদ্রনীল। ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, হামলার ঘটনায় বিজেপির ১৫ জন আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘ওঁদের দোষ কী? শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থনের জন্য এরকম পরিস্থিতির মুখ পড়তে হল?’ যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের নেতা তাপস রায়ের কটাক্ষ, নালিশ করার দল হয়ে গিয়েছে বিজেপি। ‘বহিরাগত’ ঢুকিয়ে বিজেপি বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি।