শীতলকুচির ঘটনার রেশ থেমে থাকছে না। কারণ নির্বাচনে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই ঘটল প্রাণহানির ঘটনা, সাম্প্রতিক অতীতে যা নজিরবিহীন। আর এই ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথের নিরাপত্তায় থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় চার তরতাজা যুবকের। জখম হয় আরও কয়েকজন। তার পর নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে কোনও রাজনৈতিক নেতা–নেত্রඣী সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। এবার এই সিদ্ধান্তকে তুলোধনা করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে তথা কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাতে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে একসারিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রবিবার তিনি একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এটা কী লজ্জার? ভারতের নির্বাচন কমিশন কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে! এটা একটা বেপরোয়া চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর। যিনি নিহতদের পরিবারের কাছে গিয়ে শুনতে চেয়েছিলেন বিজেপি–সিএপিএফ যৌথভাবে ক⛄েমন অত্যাচার করেছে। কী লুকোবার আছে?’ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের এই টুইট তৃণমূল কংগ্রেসকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈত🐟িক বিশ্লেষকরা।
শীতলকুচির ঘটনায় বিমান বসু এবং অধীররঞ্জন চৌধুরী বক্তব্য ছিল, দু’টি শক্তি যে সংঘাতের রাজনীতি করছে, তাঁর পরিণামই প্রতি দফার ভোটে খুন এবং হিংসা। বাংলায় সংকীর্ণ, হিংসাশ্রয়ী, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। তাই আজ বাংলায় রক্ত ঝরছে। সংযুক্ত মোর্চার এই বক্তব্য থাকলেও খানিকটা তাঁদেরও বার্তা দিয়েছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এই টুইটের মাধ্যমে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌগত রায়ের অভিযোগ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে দিয়ে কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট চেহারাই বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্𓄧ছেন।’