ভোট পঞ্চমীতে বোমাবাজি ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠল🎐 কল্যাণীর গয়েশপুর।দফায় দফায় তৃণমূল—বিজেপি’রসংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা এলাকা। বোমার ঘায়ে আহত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। পাশাপাশি বিজেপির এক বুথ সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, বহিরাগত ছিল বলে জনরোষ আছড়ে𝓡 পড়েছেন। শনিবার পঞ্চম দফার ভোটের দিন গয়েশপুরের বকুলতলা ও তেঁতুলতলা এলাকা পর পর বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।
বকুলতলার ২৭০ নম্বর 🌞বুথে বোমার ঘায়ে আহত হন চৈতন্য ভট্টাচার্য নামে এক বিজেপি কর্মী।আহত ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, ভোট দিয়ে ফেরার পথে চৈতন্যের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোট দিয়ে বিজেপির ওই কর্মী যখন ফিরছিলেন, সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বোমাটি তাঁর পায়ের কাছে ফাটায় আহত হন ওই কর্মী।পালটা তৃণমূলের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
সেই সময় রাস্তায় তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। মারমুখী হয়ে ওঠে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ঘটনাস্থলে এলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। তাঁর সামনেই লাগাতার বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তৃণমূলের অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। তাঁকে এলাকা ছাড়তে হবে বলেও দাবি জানায় তৃণমূল কর্মীরা। এ🌜ক মহিলার অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর তাঁকে চড় মেরেছেন। অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। তাই তিনি সেখানে পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন।
কর্মীদের উপর হামলার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ ওই এলাকা আগে থেকেই উপদ্রুত। বিজেপির প্রার্থী, সাংসদদের মারধর করা হয়েছিল। মানুষকে ওরা ভয় দেখাচ্ছে। মানুষ এর প্রতিবাদে ভোট দেবেন।’ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ ওই এলাকায় প্রচু⛦র বহিরাগতদের নিয়ে তৃণমূলের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনা তারই কোনও রিঅ্যাকশন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’
ওদিকে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বিজেপির কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকেছিল। এই অভিযোগে বিজেপির বুথ সভাপতি পার্থ হাজরাকে মারধর করা হয়। এমনকী, তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল কর্মীরা বলে অভিযোগ। ঘটনায় ওই কর্মীর মাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর বৃদ্ধ বাবাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি এলাকা অবরোধ করে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, ওই বাড়িতে বিজেপির দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করেছিল। তাই জনরোষে ওই বাড়ি𒊎 ভাঙচুর হয়ে𒁃ছে।