হাড়োয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১,৩০,৩৯৮ ভোট পেয়ে জয়ী তৃণমূলের শেখ নুরুল ইসলাম (হাজি)। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী রাজেন্দ্র সাহা ৩৮,৫০৬টি ভোট পেয়েছেন।
এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন শেখ নুরুল ইসলাম (হাজি)। এই আ♏সনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন রাজেন্দ্র সাহা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কুতুবউদ্দিন ফাতেহী।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১২১ নম্বর হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ফলতি বেলিয়াঘাটা, কীর্তিপুর-১, দাদপুর, কীর্তিপুর-২ ও শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বারাসাত-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং চাঁপাতলা, হাদিপুর ঝিকরা-২, দেগঙ্গা-১ ও দেগঙ্গা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দেগঙ্গা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও গোপালপুর-১, গোপালপুর-২, হ𓆏াড়োয়া এবং খস্বালন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হাড়োয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত পড়ছে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৮ নম্বর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের অসীমকুমার দাস ৯৭ নম্বর হাড়োয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলকে পরাজিত করেন তিনি। ওদিকে ২০০১ ওജ ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের ক্ষিতিরঞ্জন মণ্ডল কংগ্রেসের লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলকে পরাজিত করেন। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের কুমুদরঞ্জন রায়, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের গঙ্গাধর প্রমাণিক ও ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির ব্রজেন্দ্রনাথ সরকারকে পরাজিত করেন ক্ষিতিরঞ্জন।
১৯৭২ ও ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের গঙ্গাধর প্রমাণিক এই আসন🌼ে জয়ী হন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার জিতেছিলেন। তারও আগে ১৯৬৭ সালে বাংলা কংগ্রেসের গঙ্গাধর প্রমাণিক এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের জাহাঙ্গীর কবীর হাড়োয়া আসনে জয়ী হন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের জ্যোতিষচন্দ্র রায় সরদার ও সিপিআইয়ের হেমন্তকুমার ঘোষাল হাড়োয়া সন্দেশখালি যৌথ আসনে জয়ী হন।