কসবা বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন জাভেদ আহমেদ খান।এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন চিকৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের শতরূপ ঘোষ।দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। এই জেলার উত্তর দিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। কসবা বিধানসভা কেন্দ্র হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। কলকাতার পাশ্ববর্তী কেন্দ্র কসবা। কলকাতা পৌরসংস্থার ৬৬, ৬৭, ৯১, ৯২, ১০৭ ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে কসবা বিধানসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে। কসবা বিধানসভা কেন্দ্রটি কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ আহমেদ খান জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯১ হাজার ৬৭৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭৯৫৷তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ আহমেদ খান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষকে ১১ হাজার ৮৮৪ ভোটে পরাজিত করেন।কসবা বিধানসভা কেন্দ্র পুর্ণিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জনতা দল(ইউনাইটেড)প্রার্থী সন্তোষ কুমার পুর্ণিয়া লোকসভা আসন থেকে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৬১ ভোটের ব্যাবধানে জিতেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের উদয় সিংকে হারিয়েছিলেন তিনি।ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ রেখে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’ বিজেপি–র বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূলও। এরই মধ্যে কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌবাগা এলাকায় নবনির্মিত শনি মন্দিরের উদ্বোধন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান।দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল কসবা চৌবাগার ওই শনি মন্দিরটি। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান নিজ অর্থ ব্যয়ে মন্দিরটিকে পুনর্নিমাণ করেছিলেন।