রাজ্যের নাম পাল্টে তা ‘বাংলা’ করার দাবিতে ফের সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে 🌱এ নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে তিনি বললেন, ‘রাজ্যের নাম বাংলা করার জন্য আমি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। দেখতে দেখতে চার বছর হয়ে গেল। এখনও কিছুই হল না।’
বিজেপি–র নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘যাঁরা বাংলাকে সুড়সুড়ি দেন, তাঁরা কেন ভেবে দেখলেন না?’ পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার স্বপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের নাম বাংলা হবে না কেন? বাংলাদেশ আছে বলে? পাকিস্তানে পঞ্জাব আছে। তা হলে এ দেশে পঞ্জাব থাকল কী করে? বাংলাদেশ তো একটা দেশ আর আমরা বাংলা রাজ্যের কথা 🌱বলেছি। বা প্রদেশের কথা বলেছি। যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ আছে।’ কেন্দ্রের সরকারকে মমতার কটাক্ষ, ‘ওদের উচ্চ–মধ্য থাকতে পারে। কিন্তু বাংলার বেলায় সমস্যা।’
চিরকালই বাংলার প্রতি বঞ্চনা হয়েছে— এই অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন করেন🦩, ‘বাংলাকে বঙ্গাল বলব কেন?’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ইঙ্গিত যে বিজেপি–র সর্বভারতীয় নেতাদের🦹 দিকে তা পরিষ্কার। কারণ, অমিত শাহ হোক বা জে পি নড্ডা বা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে বাংলাকে ‘বঙ্গাল’ই বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলার কেউ যদি খুব বড় হয়ে যায় তা হলে তাঁকে টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা করা হয়। নেতাজি, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথকেও রেয়াত করেনি।’
বিজেপি–র নাম না করে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘কোনও ধমকানি–চমকানিতে ভয় পাই না। যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ধমকানি–চমকানিতে ভয় পাব না। আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া এত সহজ নয়।’ উল্লেখ্য, রবিবার এই অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগেই কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর স্ত্রীকে ন𒅌োটিশ দিতে যায় সিবিআই। সে প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু না বলেও পরোক্ষভাবে নিজের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ভাষা দিবস উপলক্ষে তাঁর নিজের লেখা একটি কবিতা পাঠ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি জেলে পাঠিয়ে দেয়, তা হলেꦛ জেল থেকেই আওয়াজ তুলব— জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা। ভাষাই আমাকে শিখিয়েছে বাঘের মতো লড়তে। নেংটি ইঁদুরকে দেখে যেন ভয় না পাই।’ মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও শোনা গেল ‘খেলা হবে’–র কথা। ভোটের ভরা মরশুমে বিজেপি–র বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, 🧸‘একুশেই খেলা হোক। আমি থাকব গোলরক্ষক। দেখব, কার কত জোর, আমাদের হারায়!’