বিরোধীরা ওয়াকআউট করেছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজ্য বাজেটে (ভোট অন অ্যাকাউন্ট) ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বাজেটে জানান, গ্রামে গ্রামে ৪৬ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। ১০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হবে। অশোকনগরে গ্যাস উন্নয়ন প্রকল্প এবং অশোকনগর শিল্পনগরীতে পরিণত করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা হবে। রঘুনাথপুরে শিল্পনগরী তৈরি হবে। ২৪৮৩ একর জমির ওপর শিল্পনগরী। ১০০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে শিল্পনগরীতে। কেন্দ্রীয় বাজেটে বলা হয়েছিল বাংলার রাস্তা তৈরিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া ছিল, ওই টাকা কৃষকদের দিয়ে দেওয়া হোক। রাস্তা আমরা তৈরি করে নেব। রাজ্য বাজেটে তারই প্রতিফলন দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।এই বাজেটে তিনি ঘোষণা করেছেন, রুবি থেকে কালিকাপুর উড়ালপথ, উল্টোডাঙা থেকে পোস্তা বাজার উড়ালপথ, চিংড়িঘাটা থেকে নিউটাউন পর্যন্ত উড়ালপুল, পাইকপাড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত উড়ালপথ। উড়ালপথ নির্মাণে ২,৫৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে কমিশনকে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে অ্যান্ড ব্রিজ কমিশন গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এমনকী যাত্রী পরিবহণে সব যানবাহনের ক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি, ২০২১ থেকে ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত রোড ট্যাক্স সম্পূর্ণ মকুবের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রায় ৩ হাজার কোটির বাজেট প্রস্তাব পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শিল্প গঠনে জমি কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আলোচনার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করা হবে এবং জমিদাতাদের চাকরির আশ্বাস দেন তিনি। পার্ক সার্কাসে স্কাইওয়াক নির্মাণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি বলেন, ‘নেতাজি বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। সেই কথার অনুকরণে বলি আপনারা আমাকে বিশ্বাস দিন আমি আপনাদের সেবা দেব।’এছাড়া পাইকপাড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত উড়ালপুল। ইএম বাইপাস থেকে নিউটাউন পর্যন্ত উড়ালপুল। আমির আলি রোড থেকে গুরুসদয় দত্ত রোড পর্যন্ত উড়ালপুল। রুবি–কালিকাপুর উড়ালপুল নির্মাণ করা হবে। আর কোচবিহারে নতুন রাস্তা হবে বলেও বাজেটে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।