পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগেই তেতে উঠল মানিকচক। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস প্রার্থী। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর মালদহের মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মালদহ দক্ষিণের লোকসভা সাংসদও। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী মোক্তাকিন আলমকে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মালদহ দক্ষিণের লোকসভা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও। মালদহের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আবু হাসেম। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মোক্তাকিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবু হাসেম। মানিকচকের মিল্কি, শোভানগর-সহ একাধিক এলাকায় কর্মিসভা ও মিছিল করেন তাঁরা। তারপর তাঁদের কনভয় পৌঁছায় ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ন’ঘরিয়া গ্রামে। অভিযোগ ওঠে, সেখানেই সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল চলছিল। তার মাঝখানে পড়ে যায় কংগ্রেস প্রার্থীর গাড়ি। অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি আটকান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এরপর কংগ্রেস প্রার্থীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পতাকার ডাণ্ডা দিয়ে আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রচার করা যাবে না বলে দাবিও তুলতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই নিয়ে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তার পরই তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মুহূর্তের মধ্য রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। কংগ্রেসের অভিযোগ, বচসা চলাকালীন তাঁদের গাড়িতে নির্বিচারে হামলা চালান তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভের মধ্যে থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও রকমে মোক্তাকিন ও আবু হাসেমকে বার করে আনেন। তার পর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু। এলাকাবাসীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এপ্রসঙ্গে শুভময় বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করছে। খুব শীঘ্র সত্যিটা সামনে আসবে। আসলে কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তারা এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’ ওই জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’ তবে এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানিকচকের মোড়ে মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা।