এই তফসিলি জাতি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিধানচন্দ্র মাঝি। অন্য দিকে, বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তারক সাহা। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের শ্যামলী প্রধান।বীরভূম জেলা হল এই রাজ্যের একটি প্রশাসনিক একক। জেলাটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত৷ এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর। বীরভূম জেলার পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, দুমকা ও পাকুড় জেলা ও অপর তিনদিকে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা অবস্থিত। বীরভূমকে বলা হয় ‘রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূ-সংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।নানুর বিধানসভা কেন্দ্র বীরভূম জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এই বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি নানুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, বাহিরী পাঁচশোয়া, কনকালিতলা, কসবা, সর্পলেহনা, আলবাঁধা, আরাজি মুলুক ও সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বোলপুর শ্রীনিকেতন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত। নানুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান জিতেছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ৪ হাজার ৩৭৪৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূলের গদাধর হাজরা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৬৪৪৷ সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের গদাধর হাজরাকে ২৫ হাজার ৭৩০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের গদাধর হাজরা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের শ্যামলী প্রধানকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের জয়দেব হাজরা নানুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের গদাধর হাজারকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। ২০০১ সালে সিপিআইএমের আনন্দগোপাল দাস তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণগোপাল মাঝি, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের শিবকিংকর সাহা ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের অধীরকুমার সাহাকে এই আসনে পরাজিত হয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের বনমালি দাস কংগ্রেসের শিবকিংকর সাহা ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের দুলাল সাহাকে এই আসনে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের দুলাল সাহা এই আসনে জিতেছিলেন। তার আগে ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে সিপিআইএমের বনমালি দাস জিতেছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এস. যশ এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৫৭ সালে নানুর আসনটি ছিল না। ১৯৫১ সালে যৌথ আসন ছিল। ওই বছর কংগ্রেসের শিশিরকুমার সাহা ও বসন্তলাল মুরারকা উভয়ই এই যৌথ আসনে জিতেছিলেন।