কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসার পর কাটেনি ২৪ ঘণ্টা। তারইমধ্যে ভোটারদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের লোক ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারবেন🌱 না। সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি এবং সিপিআইএম। যদিও তৃণমূলের দাবি, কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। 'ভোকাল টনিক' দেওয়ার জন্য সে কথা বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
শনিবার ভাঙড়ের তৃণমূলের কর্মিসভায় তৃণমূল পরিচালিত ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান মুদাস্সর হোসেন বলেন, 'এবার ভোটার হয়েছে ১৪,০০০। ১৪,০০০-ই চাই। ১৪,০০০-ই চাই। আর ১৪,০০০-ই চাই।🎃 যত আধাসামরিক দেবে, দিক। ভোগালি-২-তে খেলা হবে বিরোধীশূন্য।' মুদাস্সরের ভাষণের সময় মঞ্চে হাজির ছিলেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর সামনেই পঞ🧔্চায়েত প্রধান জানান, সিপিআইএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসও খেলতে পারেন। কিন্তু তৃণমূলের 'খেলা' আলাদা হবে। সেই 'খেলা' হবে বিরোধীশূন্য।
তবে সেখানেই থামেননি মুদাস্সর। পরে সাংবাদিকদের সামনে হুমকির সুরে বলেন, 'আমার এলাকায় তৃণমূলী লোক ছাড়া বুথে কেউ ভোট দিতে যেতে পারবেন না। বুথে আধা-সামরিক বাহিনী পাহারা দেবে, আমাদের ছেলেরা মাঠে থাকবে।' সঙ্গে যো𓆏গ করেন, 'যাঁরা আমাদের ভোট দেবেন, তাঁরা ভোট দিতে যাবেন। যাঁরা তৃণমূলে ভোট দেবেন না, তাঁরা বাড়িতে শুয়ে থাকবেন। এখানে এসে কোনও লাভ নেই।'
সেই মন্তব্য ঘিরে যথা🧜রীতি বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, 'ভাইপো' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে কথা বলেছেন মুদাস্সর। তৃণমূলের অন্দরে এরকম নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মানুষ ভোট না দিতে পারেন এবং তৃণমূল ভোট লুঠ করতে পারে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে এরকম নির্দেশ যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না বলে দাবি করেন জয়প্রকাশ। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী আবার 'খেলা হবে' মন্তব্যের জন্য তৃণমূল এবং বিজেপিকে নিশানা করেছেন।
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র ক♛ুণাল ঘোষের সাফাই, ভোটের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে 'ভোকাল টনিক' দিয়েছেন। আদতে মুদাস্সর বলতে চেয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করেছেন, সেজন্য তাঁর ১০০ শতাংশ ভোট প্রাপ্য। আর ১০০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করার জন্যই সে কথা বলেছেন। সঙ্গে কুণাল বলেনꦏ, 'একটু সংযত হলে ভালো হত। যাঁরা আছেন, তাঁরা ভোট দিতে যাবেন।'