ভোট ষষ্ঠীর সকালেই রাজনৈতিক হিংসার শিকার হল দুধের শিশুরা! কোলের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলা হল নর্দমায়। আবার কয়েক মাসের দুধের শিশুর গায়েও পড়ল চড়-থাপ্পড়। শিশুসমেত মারধর করা হল অভিভাবক ভোটারদেরও। নিগৃহীতদের অভিযোগ, ‘ওরা বলছিল, সব সুদ্ধকে ধরে মার, ফেলে দে সব কটাকে’! এমনই অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম এলাকায়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামের রাজুড়ের ১০১ নম্বর বুথে ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের কর্মী সমর্থকরা ওই বুথে ভোট দিতে গেলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। এই নিয়ে তৃণমূল—বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা তারপর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে ওই এলাকায়। বিজেপির আরও অভিযোগ, এর পর তাঁদের কর্মী—সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারধর করা হয়। তখনই উন্মত্ত দুষ্কৃতীদের সামনে পড়ে যায় দুই শিশু। অভিযোগ, মায়ের কোলে থাকা ওই শিশুদের মধ্যে একজনকে কেড়ে নর্দমায় ছুড়ে ফেলে তারা। নর্দমায় পড়ে গিয়ে ওই শিশুর মাথায় ও পায়ে চোট লাগে। মাস কয়েকের দ্বিতীয় শিশুটিকেও চড়—থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার আকস্মিকতায় ভয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকে দুই শিশুই। অভিযোগ, তাতেও মন গলেনি উন্মত্ত দুষ্কৃতীদের। আক্রান্ত শিশুর মায়ের কথায়, ‘ওরা বলছিল সব সুদ্ধকে ধরে মার, ফেলে দে সব কটাকে! ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিনও অভিযোগ উঠেছিল, শীতলকুচিতে এক বুথের মধ্যেই মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছিল তাঁর সন্তানকে। পরে গ্রামেরই একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। ভোটে কেন বারবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার হতে হচ্ছে দুধের শিশুদের? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাই।