তখনও নির্বাচনে🧸র নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। বাড়ি লাগোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে মহাযজ্ঞে হাজির হলেন। আর বিধানসভা ভোটের সূচি ঘোষণা হতেই পরিচিত ভঙ্গিমায় হুংকার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় কেন আট দফায় নির্বাচন করা হবে, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিলেন, আট দফায় ‘খেলা হবে’। তাতে বিজেপিকে ‘হারিয়ে ভূত’ করে দেবেন।
শুক্রবার সকালে কালীঘাটে তৃণমূলের কার্যালয়ে যজ্ঞ হয়। তাতে হাজির ছিলেন সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যজ্ঞের দায়িত্বে ছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত জগন্না🅠থ দয়িতাপতি। পরে সেখানে যান মমতা। যজ্ঞের কাজ করতেও দেখা যায় তাঁকে।
তবে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিনই সেই যজ্ঞের আয়োজনে অনেকেই ভোটের গন্ধ খুঁজে পান। কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়, শুক্রবার যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে, তা কেউ ঠাওর করতে পারেনি। আর আগেভাগেই যজ্ঞের আয়োজন♑ করা হয়েছিল। বছরে দু'বার সেই জগন্নাথের নামে যজ্ঞ হয়। সেজন্য পুরীর মন্দির থেকে দয়িতাপত♕ি সেবায়েত নিয়ে আসেন মমতা। তিনি নিজেও হাজির থাকেন। তাই একইদিনে ভোট নির্ঘণ্ট প্রকাশ এবং যজ্ঞ হওয়ার বিষয়টি নেহাতই কাকতলীয়।
সেই টানাপোড়েনের মধ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট যখন ঘোষণা হচ্ছে, ততক্ষণে মমতাদের যজ্ঞ হয়ে গিয়েছে। দিন ঘোষণার পর ওই দফতরেই দলের শীর্ষনেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। তারপর একেবারে আক্রমণাত্মক মেজাজে বাংলায় আট দফায় ভোটগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। কমিশনের সিদ্ধান্তকে ‘স্বাগত’ জানালেও আট দফায় ভোটের পিছনে বিজেপির সরকারের পরিচ্ছন্ন ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করেন। বলেন, ‘(কেন্দ্রীয়) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ) দেশের কাজ করুন। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। প্রধান꧑মন্ত্রীও (নরেন্দ্র মোদী) ক্༒ষমতার অপব্যবহার করছেন। সব দল মিলে যদি বাংলাকে ধ্বংস করবে বলে মনে করে, তাহলে বাংলার মানুষ তার জবাব দেবেন। আট দফায় ভোট কি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ ঠিক করে দিয়েছেন?'
শেষপর্যন্ত আট দফায় ভোট হলেও তাতে ফলাফলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করেন মমতা। বরং তিনিই যে হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন, সে বিষয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী তিনি। আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে মমতা হুংকার দেন, ‘এপ্রিলের ছয়ের 🐟মধ্যে তামিলনাড়ুর নির্বাচন একদিনে করে নিলে, কেরালার নির্বাচন একদিনে করে নিলে, এখানে ২৩ দিনের ফুটবল গ্রাউন্ড! ২৩ দিনের খেলা খেলবেন? আমাদের যꦦায় আসে না। এই খেলাতেও বলছি, আপনাদের হারিয়ে ভূত করে দেব। খেলা হবে আট দফায়। হারিয়ে ভূত করিয়ে দেব। কারণ আমরা তৃণমূল স্তরের লোক।’