শান্তিতে কাটল না অষ্টম দফার ভোট। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মানিকতলা। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মুখোমুখি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে তাঁকে লাথি মেরেছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরের গলা টিপে ধরেছেন বিজেপি প্রার্থী। এই নিয়েই দু’দলের সংঘর্ষে সরগরম হয়ে উঠল মানিকতলা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ পেয়ে এদিন সকালে ওই এলাকায় বুথ পরিদর্শনে যান কল্যাণ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে উদ্যত হয় তৃণমূলের কর্মীরা। তখনই দু’দলের মধ্যে বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কল্যাণের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা গুহর ছেলের শৌভিক গুহ তাঁকে লাথি মেরেছে।অন্য দিকে, এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। তাঁর পাল্টা দাবি, তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা গুহর গলা টিপে ধরেছেন কল্যাণ। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে আক্ষ্যা দেন তিনি। একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা গুহ। তিনি বলেন, ‘এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল এলাকায়।’ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে। তাঁর কথায়, সেই গাড়িতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ছিল। ওই গাড়ি থেকেই তাঁকে সরে যেতে বলা হয়। তিনি সরতে না—চাইলে, সজোরে তাঁর গলা চেপে ধরে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।সকালে এক দফা ঝামেলার পর বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মানিকতলা। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েকজন কর্মী—সমর্থকদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কল্যাণ। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীরা। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হাতাহাতি শুরু হয়।কল্যাণ বলেন, ‘আমার ওপর যে কোনও সময় আক্রমণ হতে পারে। অনেক বুথে তৃণমূল রিগিং করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ নীরব। অধিকাংশ জায়গায় আমাদের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ কমিশনারকে সব জানিয়েছি।’