সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বলিউড অভিনেতা তথা সলমনের ভগ্নিপতি আয়ুষ শর্মা জানান যে তিনি যাইই করেন, মানুষজন সেই ব্যাপারটির সঙ্গে সলমনের নাম জুড়ে দেয়। 'নিজের এবং পরিবারের খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার রয়েছে। সবকিছুতে সলমনের সাহায্য আমার প্রয়োজন হয় না', জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ আয়ুষ।বলিউড বাবল-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে 'অন্তিম' ছবির তারকা বলে ওঠেন, 'কী বলব বলুন...দুৰ্ভাগ্যবশত আমার জীবনে আমি যাইই করি না কেন তার সবকিছুতেই সলমনের নাম টেনে আনা হয়। মানে ছোট্ট ছোট্ট ব্যাপারেও। ধরুন, এক গাড়ি কিনেছি। আমাকে শুনতে হয়, ওহ গাড়ি!..নিশ্চয়ই সলমন কিনে দিয়েছে .বা ধরুন এটা করলি, ওটা পেলি নিশ্চয়ই সলমনের জন্য'। সামান্য থেমে ক্ষুব্দভাবে আয়ুষ জানান যে তাঁর কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে নিজের ব্যক্তিগত খরচ চালানোর জন্য। 'আমি সারাজীবন মোটেই এদিক ওদিক ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে গায়ে হাওয়া লাগাইনি'।তবে ট্রোলিংকে সবসময়ে 'নেগেটিভ' হিসেবে মোটেই গ্রহণ করেন না আয়ুষ। বললেন, 'প্রথম প্রথম ট্রোলড হয়ে ভাবতাম যে কেন আমি এসবের শিকার হচ্ছি? আমি কী করলাম? ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন নিন্দা, সমালোচনা এলে বরং খুশি হই। নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিই এই খুঁতগুলো নিখুঁতভাবে ঢেকে ফেলার জন্য আরও পরিস্রহম করতে হবে। তাই করি। সেভাবেই এগোনোর চেষ্টা করছি। তবে হ্যাঁ, নিন্দুকদের আমি মোটেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্লক করি না। 'হেলদি ক্রিটিসিজম' এর ভীষণ প্রয়োজন জীবনে। এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে'।গত সপ্তাহেই বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে 'অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ'। প্রথমদিকে একটু ঢিমেতালে চললেও শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, বক্স অফিসে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আয়ুষ শর্মা- সলমন খান অভিনীত এই ছবি। প্রসঙ্গত, এই ছবির সুবাদেই প্রথমবার অন-স্ক্রিন একসঙ্গে হাজির হয়েছেন এই দুই অভিনেতা।