লোকের মুখে এখন একটাই রব, 'জা𓃲স্টিস ফর আরজ꧙ি কর'। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে যতটা সম্ভব অব্যাহতি দেওয়ার কথায় আরও চটেছে জনতা থেকে তারকা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।
আনন্দবাজারকে অপরাজিতা বলেন, ‘মহিলাদের উপর এ꧃মন নি🦂ষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মানে রাজ্য বা শহরেই সমস্যা রয়েছে।’
অপরাজিতার কথায়, তাঁদেরকেও রাতে শ্যুটিং করতে হয়, চিকিৎসক ও কর্পোরেট ক্ষেত্রেও মহিলাদের রাতে শিফট থাকে। অভিনেত্রী বলেন, তাঁর ননদকেও একসময় বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করার কারণে রাতের শিফটে করতে হয়েছে। অথচ ছোট থেকেই সকলকে শেখানো হয় রাত ৯টার পর যেন বাড়ির বাইরে না থ🅷াকা হয়। বলা হত রাত ৯টার পর ভদ্র বাড়ির মেয়েরা নাকি বাড়ির বাইরে থাকে না। অপরাজিতা বলেন, ‘আমার মধ্যেও এই শিক্ষার ꦑবীজই ছিল, তবে মনে মনে আমারও রাতেই বাড়ির বাইরে বের হতে ইচ্ছে হত। বিয়ের পর কলকাতায় এসে ধারণা বদলায়।’
অপরাজিতার কথায়, 'যুগের নিয়মে সবই বদলেছে। মানুষও বুঝেছেন রাতেও মেয়🃏েদের কা♔জ করতে হতে পারে। বাবা-মায়েরাও বিষয়টা মেনে নিয়েছেন। একসময় আমাদের শেখানো হত ব্যাগ পিঠে নয়, বুকের কাছে ধরে নিয়ে ফিরবে। যাতে কেউ গায়ে না হাত দিতে পারে। তবে এখন কাজের ধারা বদলে গিয়েছে।' অভিনেত্রী বলেন, তিনি চান, পরের প্রজন্ম যেন সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বাঁচে। তবে মহিলাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আসছে মানে এই শহরেই সমস্যা রয়েছে।
শিল্পীদেরও গ্রামে-গঞ্জে রাতে অনুষ্ঠান করতে যেতে হয়। সেপ্রসঙ্গ অপরাজিতা বলেন, ‘রাত ১২টার পর আমিও নিরাপদ মনে করি না। তাই ১২ টার পর অনুষ্ঠান করি না, এটা বলাই থাকে। এ𝓰মন অনেক কিছুই দেখেছি, তাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছি।’
ধর্ষণ নিয়ে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘লোকে বলে ছোট পোশাক পরার জন্য নাকি ধর্ষণ হয়। আমি কখনও শুনিনি এমটা ঘটেছে। বরং শাড়ি, সালোয়ার পরেই মেয়েরা ধর্ষিতা হয়েছে। এমনকি দেড় বছরের শিশু, আব𓃲ার ৭৬ বছরের বৃদ্ধাকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। এটা তো বিকৃত মানসিকতা। এই ধারণা মেয়েদেরই আন্দোলন করে ভাঙতে হবে। …নিজের অধিকারের জন্য মেয়েদের তাই লড়াই করতেই হবে।’