একচেটিয়া কাজ করেছেন অতীতে। বড় পর্দা হোক বা ধারাবাহিক, সব ক্ষেত্রেই ছিল অবাধ বিচরণ। করেছেন সঞ্চালনাও। প্রায় তিন বছর আগে 'কনে বউ' ধারাবাহিকে শেষ দেখা যায় অভিনেত্রী সোনালি চৌধুরীকে। এর পর অভিনয় করেননি আর। চলে যান অন্তরালে। কেন এই সিদ্ধান্ত? দীর্ঘ সময় আড়ালে থাকা? উত্তর খুঁজল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।সোনালি জানান, বিয়ের পর পরিবারকে সময় দিতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলত পেশাগত জীবনের চাপ কমিয়ে নিতে চেয়েছিলেন কিছুটা। তিনি বলেন, 'আমার স্বামী বাইরে থাকতেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে থাকতাম। ধারাবাহিক করলে ব্যস্ততা অনেকটা বেড়ে যায়। সেখানে অনেকটা সময় দিতে হয়। তাই কম কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'২০১৯ সালে 'কনে বউ' ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন সোনালি। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় মাঝপথেই বন্ধ করতে হয় কাজ। অভিনেত্রীর কথায়, 'প্রায় এক বছর কাজ করে আমাকে বিরতি নিতে হয়। করোনার মধ্যে ওই অবস্থায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছিলাম না। মাস্ক ছাড়া আমাদের শ্যুট করতে হত। আমার চিকিৎসকও তাতে বিশেষ রাজি ছিলেন না।'গত বছর মে মাসে ছেলে রিয়ানের জন্ম দেন সোনালি। শুরু হয় নতুন অধ্যায়। তখন কাজ নয়, বরং একরত্তির দেখাশোনার দিকেই মন দিতে চেয়েছিলেন নতুন মা। খানিক হেসে তিনি বলেন, 'মনে হত ওকে আমার থেকে ভাল আর কেউ সামলাতে পারবে না। আমিই বোধ হয় ওকে সব চেয়ে যত্ন করে খাওয়াই, ঘুম পারাই।' অভিনয় করছেন না ঠিকই। তবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন ছেলের জন্মের মাস কয়েক পরেই। স্টার জলসার 'ইস্মার্ট জোড়ি'তে পরিচিত মুখ সোনালি। কিন্তু রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন কেন? ছবি বা ধারাবাহিকের অরুচি? সোনালির যুক্তি, ধারাবাহিকের তুলনায় রিয়্যালিটি শোয়ে কাজের ব্যস্ততা খানিক কম। অগত্যা এই সিদ্ধান্ত।দীর্ঘ দিন পর ফের জনসমক্ষে। অভিজ্ঞতা কেমন? অভিনেত্রীর উত্তর, 'ছেলে হওয়ার পর আমার ওজন অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। কাজের আগ্রহে সেটা অনেকটা কমিয়েছি। কিন্তু এত দিন পর ক্যামেরার সামনে আসার আগে একটু চিন্তা হয়। প্রশ্ন জাগে, সব ঠিকঠাক করতে পারব তো? নিজের সঙ্গেই একটা লড়াই চলে।'সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ওজন বাড়ে সোনালির। ধেয়ে আসে কটাক্ষও। নানা কটূক্তির শিকার হন নেটমাধ্যমে। কিন্তু নেতিবাচকতাকে পাত্তা দেওয়ার সময় কোথায়? আপাতত একরত্তিকে নিয়ে দিব্যি দিন কাটছে অভিনেত্রীর।হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই? 'আমি যা যা কাজ করেছি, সেগুলির জন্য দর্শক আমাকে মনে রাখবে', আত্মবিশ্বাসের স্বর সোনালির গলায়।