তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা 🅘শহর কলকাতার। তবু এসি গাড়ি ছেড়ে হেলমেট পরে বাইকে সওয়ার হয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সেই꧃ বাইকের চালকের আসলে অভিনেতা, ফুড ব্লাগার ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি। সোশ্যাল মিডিয়া তাঁকে অবশ্য ‘ফুডকা’ নামেই চেনে। সেই ইন্দ্রজিৎ লাহিড়িরই রয়্যাল এনফিল্ডে চড়তে দেখা গেল স্বস্তিকাকে।
ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি নিজেই। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, ‘নাহ , তিনি এই গরমে বাইকে বেশ আয়েশ করে বসে ঘুরতে পারেন…।’ ছবির সঙ্গে নে🔴টিজেনদের ট্রাফিক আইনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইন্দ্রজিৎ দুই কলমে লিখেছেন, নিয়ন নম্বর ১- সসবসময় হেলমেট পরবে♉ন। নিয়ম নম্বর ২-মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে রাস্তায় চলবেন না। ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ির পোস্ট থেকে অনুমান তিনি ও স্বস্তিকা দুজনেই কলকাতার ক্যাফে, রোস্তোরাঁ Biancokolkata-তে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি অভিনেত্রীকে ওই রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছিল।
এই পোস্টের নি🌊চে নেটিজেনদের নানান কমেন্ট উঠে এসেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘ও ফুডকা 🔯তোমায় হিংসে হচ্ছে।’ কারোর মন্তব্য, 'ফুডকা' ইন্দ্রজিৎ লাহিড়িকে নাকি ডেভিড ধাওয়ানের মতো দেখতে লাগছে। কারোর আবার মনে হয়েছে, ইন্দ্রজিৎ লাহিড়িকে নাকি বিরাট কোহলির বাবার মতো দেখতে। কেউ আবার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে বার্তা দ🎉িয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন স্বস্তিকা। লিখেছিলেন ‘আরো গাছ কাটো, আরো পুকুর বোজাও, কংক্রিট এর জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’ যদিও এই পোস্টে কিছু লোক স্বস্তিকাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। কটাক্ষ করে লেখেন, 'দিদিভাই কংক্রিট ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। আপনি থাকেন কোথায়? কটা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও, তাই না?'
স্বস্তিকা অবশ্য ছেড়ে কথা বলার পাত্রী নন মোটেও। তিনি পাল্টা উত্তরে জানান, 'হ্যাঁ, লাগিয়েছি। আমি আর বাবা দুজনেই। আমাদের বাড়ির গলিতে যে কটা গাছ আছে আমাদেরই লাগানো। আর আমি কোনও ফ্ল্যাটে থাকি না। কোনও ফ্ಞল্যাট কেনা নেই। বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বই গেলে ভাড়া বাড়িতে থাকি।' এখানেই শেষ নয়, আরও একজন ট্রোল করে লেখেন, 'আপনি কত গুলো গাছ লাগিয়েছেন? এসি ছাড়া তো থাকতেই পারবেন না।' এই কথারও উত্তর দিতে ছাড়েননি অভিনেত্রী। লেখেন, 'ফুটপাথে তো বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। তবে আমি গত চারদিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টেবল এসি তো পাওয়া যায় না এখনও। থাকলে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতাম।' যদিও আবার অনেকেই স্বস্তিকার সমর্থনেও সুর চড়িয়েছেন।