বাঙালির প্রিয় জলখাবার তালিকায় একেবারে মগডালে তার অধিষ্ঠান। গরম ধোঁয়া ওঠা ফুলকো লুচি, বাটি ভর্তি সাদা আলুর তরকারি আর গোল করে কাটা বেগুন ভাজা। এমন খবর পেলে কোন বাঙালির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটবে না? এই তালিকায় রয়েছে ছোট্ট আদিদেব চট্টোপাধ্যায়ও।সুদীপা-অগ্নিদেবের এই একরত্তি এই বয়সেই বেশ খাদ্যরসিক। টেবিলের ওপর যত্ন করে সাজানো এই লোভনীয় জলখাবার দেখে আনন্দ আর ধরেনি খুদে আদিদেবের। আনন্দে চোখ চকচক করে উঠেছে। আর তা নিজের অনুরাগীদের না দেখিয়ে থাকতে পারেননি সুদীপাও। সঙ্গে সঙ্গে রিল ভিডিয়ো তৈরি। আর তৈরি করেই ঝটপট তা আপলোড হয়েছে নেটমাধ্যমে। সঙ্গে সুদীপার মন্তব্য, ‘মামাবাড়ি ভারি মজা, কিল চড় নাই…!’ জানা গেল মামাবাড়িতে রয়েছে আদিদেব এবং সুদীপা। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুদীপা জানিয়েছেন যে মামাবাড়িতে শুধুই দেদার মজা করার জন্য কিন্তু মোটেই এবার আসেনি আদিদেব। তাহলে? বাড়ির পুজোয় সবাইকে নিমন্ত্রণ জানাতে সে মামাবাড়ি গিয়েছিল। সুদিপার কথায় জানা গেল তাঁদের চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় বড় দাদার বিশেষ ভূমিকা।প্রতি বছর সুদীপার বাপেরবাড়ির সবাইকে রীতিমতো তত্ত্ব পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার সেই আমন্ত্রণ জানানোর ভার পড়েছে আদিদেবের ওপরে। আর সেই দায়িত্ব অর্পণ করেছে তাঁর বাবা অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। আর কে না জানে মামাবাড়িতে ভাগ্নের দ্বার কতটা অবদারিত থাকে। তার ওপর মামার সঙ্গে আদিদেবের সম্পর্ক পরোপসড়কে চোখে হারানোর মতো ঘনিষ্ঠ। আর তাই তো মামাবাড়িতে দুরন্ত আপ্যায়ন পেয়ে আহ্লাদে আটখানা সঞ্চালিকা-পুত্রও। লেখায় বাহুল্য, খুদে আদিদেবের এই ভিডিও যারপরনাই মন ভরিয়েছে নেটিজেনদের।