আরজি কর কাণ্ড নিযে যখন চারদিকে প্রতিবাদে ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে, তখন কিছু তারকারা একেবারেই চুপ। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও কিছু কম হচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছেন অদিতি মুন্সী। কীর্তন গাওয়া অদিতির ফ্যানবেস আলাদাই। রাজনীতিতে থাকলেও, রাজনীতি নিয়ে সেভাবে কথা বলেন না। তবে ওই যে, জনপ্রতিনিধি হলে অনেক দায়িত্ব।
১৬ অগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পদযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন দলের কিছু মহিলা বিধায়ক-সাংসদ। যেখানে সব অরাজকতার দায়ভারই রাম-বামের কাঁধে চাপিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নিন্দকদের দাবি, নির্যাতিতার বিচার চাইলেও, সেই চাওয়ায় নাকি খুব একটা জোর ছিল ন! এমনকী, মুখ ফসকে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) তো নির্যাতিতার ফাঁসি চাই-ও বলে ফেলেন ২-৩ বার। আর সঙ্গে গলা মিলিয়ে এই সঙ্গীরাও (অদিতি নিজেও সেই দলে) চিৎকার করেছিলেন, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’।
সমাজমাধ্যমে ট্রোলড্ হতে হয়েছে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষদের। সায়ন্তিকার গিটার বাজানো নিয়েও ট্রোলিং থামছে না। রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভার বিধায়ক অদিতি মুন্সীকে নিয়েও অনলাইনে নিরন্তন কটাক্ষ সমালোচনা। আর পাঁচ জনের মতো কেন পথে নেমে প্রতিবাদ করলেন না সেই নিয়ে সরব হয় নেটপাড়া। প্রসঙ্গত, গায়ক-গায়িকারা যেদিন রাস্তায় নামেন, সেদিনও ছিলেন না তিনি।
আরও পড়ুন: টাকার জন্য হয়নি ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা! KBC-র মহিলা প্রতিযোগীর কথা শুনেই বিগ বি…
তবে কটাক্ষ বাড়তেই চুপ থাকলেন না, দিলেন জবাব। অদিতি মুন্সীকে বলতে শোনা গেল, ‘স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর নারী নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে এটা ভাবলেই তো ঘেন্না হচ্ছে। আমি জানি এরপরেও অনেক মানুষ এসে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন, তবে সেটা আপনাদের রুচি। আপনারা যারা দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে আছেন তারা জানেন যে আজ পর্যন্ত আমি সঙ্গীত বাদে কোনো রাজনৈতিক পোস্ট তো দূরের কথা, কোনো নেতিবাচক কথাও বলিনি।’
আরও পড়ুন: এমার্জেন্সি সিনেমা ‘শিখদের নাম খারাপ’ করছে!নিষিদ্ধ করার ডাক গুরুদুয়ারা কমিটির
‘কারণ আমার ধর্ম, আমার শিক্ষা, আমার সঙ্গীত, ঘৃণা নয় ভালোবাসার কথা বলে | আজ যারা এর প্রতিদানে এত আঘাতে আমাকে ভরিয়ে দিলেন তাদের ধন্যবাদ। সমস্ত অপরাধের বিচার চাই। আর এই বিচার ভগবানের হাতেই হবে।’, আরও লেখেন অদিতি।