দেখতে দেখতে একমাস অতিক্রান্ত! চলে গিয়েছে ঐ🌞ন্দ্রিলা, দুঃখের সাগরে ভাসছে তাঁর গোটা পরিবার। মেয়ের চলে যাওয়ার শোক কী এত জলদি কাটিয়ে ওঠা যায়। এখনও চোখের কণায় সারাক্ষণ জল প্রয়াত নায়িকার মায়ের। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কথা বলতে গেলেই গলা বুজে আসছে।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর কলকাতার কুঁদঘাটের ছেড়ে বহরমপুরে ফিরে গিয়েছেন শিখা দেবী ও তাঁর স্বামী। ‘মিষ্টি’ (ঐন্দ্রিলার ডাকনাম) স্মৃতি ওই ফ্ল্যাটের প্রতিটা কোণায়। সাজানো ঐন্দ্রিলার সারি সারি জুতো জোড়া, জামাকাপড় থেকে শুরু করে পছন্দের সব জিনিস। ছোট মেয়ের মৃত্যুর ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি ঐন্দ্রিলার পরিবার। ঐন্দ্রিলার স্মৃতি আঁকড়েই কাটছে তাঁর মা-বাবা-দিদির দিন। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর একমাস পূর্তির দিন এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন অভিনেত্রীর অপূর্ণ ইচ্ছার কথা। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ার দিন কয়েক আগেই মায়ের কাছে আবদার করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। এত জলদি যে হাতটা ছাড়িয়ে চলে যাবে কে জানত? মেয়ের ওই আবদার,ﷺ ওই ইচ্ছেটা প্রতি মুহূর্তে কানে বাজছে তাঁর।
কী আবদার রেখেছিলেন ঐন্দ্রিলা? ফোন করে শিখা দেবীকে ঐন্দ্রিলা বলেছিলেন- ‘মা অনেক শাড়ি হয়ে গিয়েছে। একটা ওয়ার্ডড্রোব লাগবে। তুমি এসে করে দিও।’ সব জিনিস সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসতেন ঐন্দ্রিলা। ভীষণরকম পরিপাটি মানুষ ছিলেন। জুতো কেনার নেশা ছিল তাঁর। সবই আজ পড়ে রয়েছে, শুধু মেয়েটাই নেই! শিখা দেবী জানালেন, মেয়ে𒉰কে কথা দিয়েছিলেন তাই ঐন্দ্রিলার পছন্দের ওয়ার্🍃ডড্রোবটা তৈরি করতে কলকাতার ফ্ল্যাটে ফিরবেন। মেয়ের পছন্দের শাড়িগুলো একে একে সেখানে গুছিয়ে রাখবেন যত্ন করে।
কাজের সূত্রে ইতিমধ্যেই বাইরে চলে গিয়েছে বড় মেয়ে। চেম্বারেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ ফিরতে হয়েছে ঐন্দ্রিলার বাবাকেও, পেশায় নার্স ঐন্দ্রিলার মা। তবে কাজে কিছুতেই মন বসাতে পারছেন না তিনি। বলল༺েন, ‘নার্সিংহোম যাই। ওখানেও বেশিক্ষণ বসতে পারি না। কী নিয়ে থাকব আমি?’
মেয়ের স্মৃতি আগলেই আপতত দিন কাটছে শিখা দেবীর। ফেসবুকে মেয়ের পুরোনো স্মৃতিগুল🦂ো রোজদিন শেয়ার করে নেন তিনি। বললেন, ‘মিষ্টিকে স্বপ্🔴নে দেখি মাঝেমধ্যে, ফেসবুকে ওকে নিয়ে যা-আ-আ-আ পাই, রেখে দিই।’ এগুলোই তাঁর বাঁচার রসদ যে!