২০২১ সালে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। বাংলা সিরিয়ালের জগতে খুব অল্প বয়সেই নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে ক্যানসার কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। সন্তানহ𝓰ারানোর যন্ত্রণা মনে চেপেই দিন কাটছে ঐন্দ্রিলার মা আর বাবার। সম্প্রতি শর্মা পরিবারের সঙ্গে আড্ডা জমিয়েছিলেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’র মঞ্চে।
ক্যানসারেরꦜ মতো মারণ রোগকে ভয় পান সকলেই। শর্মা পরিবারের দুজন মানুষ লড়াই করেছেন এই কর্কট রোগের সঙ্গে। ১৯৯০ সালে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রীর মা-বাবা শিখা আর উত্♒তম। ১৯৯৫ সালে বড় মেয়ে ঐশ্বর্যর জন্ম হয়, আর ১৯৯৮ সালে ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলার।
২০০৭ সাল নাগাদ ক্যানসার ধরা পড়ে শিখা শর্মার। দুই ওভারিতেই থাবা বসিয়েছিল ভয়ানক সেই কর্কট রোগ। অপারেশনের পর সুস্থও হয়ে ওঠেন। তবে ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। বিশ্বনাথকে উত্ত🐲মবাবু জানালেন, ২০১৫ সালের জন্মদিনের রাতেই ব্যাপারটা নজরে আসে গোটা পরিবারের।
২০১৫ সাল। ওর জন্মদিন ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘড়িতে বাজে পৌনে ১২টা। ও বসে আছে, সবাই শুভেচ্ছা জানাবে। হঠাৎ আমাকে বলে, বাবা দেখো পেটের এখানটা কেমন শক্ত লাগছে। পেশায় চিকিৎসক উত্তম বাবু জানান, তিনি হাত দিয়🤪ে দেখলেন বেশ শক্ত হয়ে রয়েছে জায়গাটা। মেয়েকে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নও করেন, ‘এটা কবে থেকে হয়েছে’। জবাবে ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন, তিনি সেই প্রথম বুঝতে পেরেছেন।
নিয়ে যাওয়া হয় ঐন্দ্রিলাকে এইমস হাসপাতালে। দেখেন সার্জারি ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসকরা। আর সেখানে ঐন্দ্রিলার সাম💧নেই সেই ডাক্তার বলেছিল, ‘এটা তো এখন অপারেশন করা যাবে না। জানেন কী হয়েছে। ওর তো ইউয়িং সারকোমা ক্যান্সার।’
তখনইজানতে পারেন ঐন্দ্রিౠলা। বাবাকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলে ছোট্ট মেয়েটা। বলতে থাকেন, ‘বাবা মায়ের হল, আমারও ক্যান্সার!’
২০২১ সালের ১লা নভেম্♏বর রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ‘ইউয়িং সারকোমা’-র রোগী ছিলেন তিনি। এই টাইপের ক্যানসার সহজে পিছু ছাড়ে না। চিকিৎসকদের ধারণা ক্যানসার ফিরে এসেছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। ব্রেন স্ট্রোকের পর কোমায় চলে যান অভিনেত্রী। দী💦র্ঘ লড়াই চলেছিল ১৯ দিনের। এরপর ২০ নভেম্বর দুপুরে মৃত্যু হয় ঐন্দ্রিলা শর্মার।
শুধু তাই নয়, ক্যানসার ফিরে এসেছে শিখা দেবীর শরীরেও। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার কিছꦿুদিন আগেই পেয়েছিলেন তিনি রিপোর্ট হাতে। ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়েছিল। ২০২৩ সালের টেলি অ্য়াওয়ার্ডসে ঐন্দ্রিলা শর্মাকে মরণোত্তর বিশেষ কৃতি সম্মান দেওয়া হয়। আর তখন মঞ্চে এসেছিলেন উত্তমবাবু আর শিখাদেবী।