স্বপ্নপূরণের জন্য বয়স কোনও বাধাই নয়। তা আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন টুইঙ্কেল খান্না। ৪৮ বছর বয়সে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করার সুখবর আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী, এবার ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে সেই ডিগ্রি হাতে পেলেন অক্ষয় ঘরণী। ফিকশন রাইটিং-এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জ൩ন করলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। বউয়ে নি🐻য়ে গর্বে বুক ফুলল অক্ষয়ের।
এমএ পাশের সার্টিফিকেট হাতে নেওয়ার সময় টুইঙ্কলের চিয়ারলিডার হলেন অক্ষয়। হ্যাঁ, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার। চলার পথে সবসময় স্ত্রীর হাত ধরে থাকার প্রতিজ্ঞা পালনে এদিনও পিছু হটলেন না নায়ক। টিনার (টুইঙ্কলকে এই নামেই ডাকেন অক্ষয়) জন্য এদিন আদুরে পোস্টও লিখলেন গর্বিত স্বামী, অক্ষয়💙।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে তোলা একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করে অক্ষয় লেখেন, ‘২ বছর আগে যখন তুমি আমাকে বলেছিল ফের পড়াশোনা শুরু করতে চাও, আমি বুঝতে পারিনি ঠিক কী বলছো! কিন্তু যেদিন দেখলাম তুমি কতটা পরিশ্রম করছো, ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েও সংসার, কেরিয়ার, আমাকে এবং সন্তানদের খেয়াল রাখছো- বুঝলাম আমি একজন সুপারওম্যানকে বিয়ে করেছি। আজ তোমার গ🐻্র্যাজুয়েশন, আমিও ভাবছি যদি আরেকটু পড়াশোনা করতাম তাহলে হয়ত সেই শব্দগুলো খুঁজে বার করতে পারতাম, যা বুঝিয়ে দিত তোমাকে নিয়ে আমি ঠিক কতটা গর্বিত, টিনা। অভিনন্দন, আমার ভালোবাসা’।
জীবনের নতুন মাইলস্টোন অর্জন করে উচ্ছ্বসিত টুইঙ্কল। গত দু-বছর লন্ডনই ছিল টুইঙ্কলের ঠিকানা। বিদেশেই পড়াশোনা আর লেখালিখি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অক্ষয় ঘরণী। সমাবর্তনের দিন মঞ্চে উঠে শংসাপত্র হাতে নেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করেন টুইঙ্কল। ভিডিয়োর সঙ্গে যোগ করেন একটি ছোট্ট মেসেজ। তাতে লেখা- ‘অবশেষে আমার গ্র্যাজুয়েশন ডে। গোল্ডস্মিথসে প্রথম দিনের কথা ভাবলে মনে হয় এই তো গতকালের কথা, আবার কখনও ভাবি না জানি কোন জনমের ঘটনা! রৌদ্রজ্জ্বল একটা দিন, সুন্দর একটা শাড়ি, পা𒈔শে পরিবার… এই ♚দিনটা যেমনটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও বেশি পারফেক্ট।’
এরপর টুইঙ্কলের সংযোজন, বয়সের সঙ্গে আমরা কেবল উচ্চতায় বাড়ি তা নয়ಌ, 🌟সর্বতোভাবে নিজের বৃদ্ধি সম্ভব।
রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইঙ্কল, ইন্ডাস্ট্রির সকলের কাছে তিনি আদের টিনা। বরসাত, বাদশা, ইন্টারন্যাশন্যাল খিলাড়ি থেকে মেলার মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন টুইঙ্ক♒ল। ‘মেলা’ ফ্লপ করার পর শর্তে হেরে অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী, এরপরই ইতি টানেন কেরিয়ারে। কারণ অভিনয় জগত কোনওদিন তাঁর পছন্দের জায়গা ছিল না। এখন লেখালেখির পাশাপাশি প্রযোজনায় মন দিয়েছেন ট🌱ুইঙ্কল।