বর্তমানে টলিউডের অন্যতম পছন্দের নায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। লাইমলাইট থেকে একটু দূরে থাকতেই পছন্দ করেন অভিনেতা। নিজের ব্যক্তিগ𝄹ত জীবন নিয়ে বরাবর কথা বলতে পছন্দ করেন না। তবে পর্দায় ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত তিনি। সম্প্রতি অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক হিসাবেও নজর কেড়েছেন টলিউডের এই তারকা। অনির্বাণ পরিচালিত ‘মন্দার’-এ মুগ্ধ সকলেই। টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন তো বলিউডেও পা রেখেছেন তিনি।
টলিপাড়ার এই ‘টক অফ দ্য টাউন’ অভিনেতা কি সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছেন? সম্প𒅌্রতি জি ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।
অনির্বাণের কথায়, ‘এইরকম ব্যাপার নেই তা নয়। তবে মূলত যে বিষয়টা রয়েছে তা হল যৌনশিক্ষার অভাব। বিষয়টা হল যৌনতাকে গোপন ভূতের মতো করে দেখা, এই ভূতকে যদি আমি অন্য কোথাউ দেখতে পাই তাহলে আমার ভালো লাগবে না। এই ধরুন মন্দারে (Mandar) একটি মাস্টারবেশনের দৃশ্য রয়েছে। সেটা নিয়ে আমাকে অনেকেই বলেছে- ‘একটা সিরিজ দেখতে বসব সেখানে আবার এইসব মাস্টারবেট (হস্তমৈথুন) দেখতে হবে!’ কিন্তু আদতে ৯৯% বা আদতে ১০০% পুরুষ হস্তমৈথুন করেন। তবে সেটা দেখতে সমস্যা। কী সমস্যা রয়েছে সেটা সাইকোলজিস্টরা বলতে পারবে। আমাদের দেশে তো যৌন শিক্ষার (sex education) সেভাবে চল নেই। এখন তো আরও গাঢ় সংস্কারের দিকে চলে যাচ্ছি আমরা, আপতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হচ্ছে এরপর তো বাড়িতে এসে ঢিল-টিল ছুড়বে হয়তো'। আরও পড়ুন-হুমকি,মানসিক অত্যাচার,হেনস্😼তার অভিযোগ অনির্বাণের বিরুদ্ধে! ছিছিকার নেটপাড়ায়
এই প্রসঙ্গে ওঠে আসে রণবীরের সিং (Ranveer Singh)-এর ন্য়ুড ফটোশ্যুটের প্রসঙ্গও। অনির্বাণ খানিকটা আক্ষেপের সুরেই জানান, ‘একজন অভিনেতা সেটা (ন্যুড ফটোশ্যুট) করতেই পারেন। আসলে বিষয়টা হল আগে ছিল আমাদের যেটা রুচিতে বাঁধছে সেটা থেকে দূরত্ব তৈরি করা। এখন সেটা উলটে গেছে। যেটা ভালো লাগছে সেটা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই,ও ভালো ছবি করেছে সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু কোনও গণ্ডোগোলের কাজ করেছে তখনই ‘চল তো যাই, গিয়ে দেখি…', ঝোঁকটা এখন পুরো বদলে গিয়েছে। আরও ൩পড়ুন- বক্ꦚস অফিসে পরপর ফ্লপ ছবি, ব্যর্থতার দায় কপিলের ঘাড়ে চাপালেন অক্ষয়! কেন?
অনির্বাণকে শে⭕ষ দেখা গিয়েছে ‘টিকটিকি’ ওয়েব সিরিজে। সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই এক জাতীয় স্তরের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন অভিনেতা। সেখানে সঙ্গী হবেন মিমি চক্রবর্তী এবং আলি ফজল।