ভারতীয় সমকামী আন্দোলনের অন্যতম রোল মডেল তাঁরা। ভেঙে গেল জাতীয় পুরস্কার জয়ী ফিল্ম এডিটার তথা পরিচালক, চিত্রনাট্যকার অপূর্ব আসরানি ও তাঁর পার꧅্টনার সিদ্ধান্তের সম্পর্ক। ১৪ বছর একসঙ্গে থাকবার পর আলাদা হল এই প্রেমিক যুগলের রাস্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর শেয়ার করেন অপূর্ব আসরানি।
সমকামীদের অধিকার নিয়ে বরাবরই সরব হয়েছেন অপূর্ব। শাহিদ, আলিগড় ছবির এডিটার তিনি, পাশাপাশি সমকামিতাকে অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে🌠 ধরা আলিগড় ছবির কাহিনীকার এবং চিত্রনাট্যকারও অপূর্ব আসরানি।
ইনস্টাগ্রাম বিবৃতিতে অপূর্ব (Apurva Asrani) লিখেছেন,'অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ খবর জানাচ্ছি। সমকামী সমাজে (LGBTQ) আমরা দুজনে আদর্শ ছিলাম। সে কারণে এটা অনেকের কাছে হতাশার কারণ হতে পারে। কিন্তু, জানিয়ে রাখি ১৪ বছরে 🍌কাটানো আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। সমকামী দম্পতিদের থেকে প্রেরণা নেওয়ার খুব বেশি নজির ভারতে নেই। আমরা যৌভভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি'।
ক্রিমিন্যাল জাস্টিস ২ লেখক, অপূর্ব আসরানি আরও যোগ করেন, 'ভারতে সমকামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে আমরাই প্রথম প্রজন্ম যাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে প্রকাশ্যে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশও করেছি। আ𒉰মাদের কোনও আক্ষেপ নেই। আমার বিশ্বাস সকলের জন্য আশা রয়েছে, আমার জন্য, সিধের জন্য এবং সকল মানুষের জন্য যাঁরা ভালোবাসা খুঁজছে, কমিটমেন্ট খুঁজছে।
তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান জানানোর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অপূর্ব আসরানি। শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অপূর্ব। তিনি ইনস্টা স্টোরিতে লেখেন, ‘সততা (লয়্যালটি) কোনওদিনই কখনও ধূসর হয় না, সেটা হয় সাদা নয়ত কালো’।🐬
গত বছর মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অপূর্ব জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে এক বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। তিনি লেখেন, ‘। আমরা বাড়িতে পর্দা ফেলে রাখতাম যাতে কেউ আমাদের আসল পরিচয় না পায়। এখন আমরা নতুন বাড়ি কিনেছি। একসঙ্গে জী𝕴বনে পারি দিয়েছে। সমাজ, পরিবারকে বলতে পারছি আমরা একে অপরকে ভালোবাসি’।
গত দু দশক ধরে বলিউডের অন্যতম পরিচিত এডিটর অপূর্ব আসরানি। সত্য, শাহিদের মতো ছবির এডিটারে দায়িত্ব সামলেছেন অপূর্ব। ২০০১ সালে 'স্নিপ'- ছবির এডিটি🍨ংয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হাতে উঠে অপূর্বর।