✅ গিটার হাতে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ কিংবা ‘জুমে জো পাঠান’ গাইবেন অরিজিৎ সিং, তার সঙ্গে মিশে যাবে ‘বোঝে না সে বোঝা না'র সুরও! নিজের রাজ্যে নির্ধারিত দিনেই পারফর্ম করতে চলেছেন ‘তুম হি হো’ খ্যাত গায়ক। আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অরিজিতের কলকাতা কনসার্ট। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অরিজিতের কনসার্ট বিতর্ক নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবার সুযোগ এল অরিজিৎ সিং-এর ভক্তদের কাছে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল অরিজিতের কনসার্টের নতুন ভেনু।
🀅মাস কয়েক আগেই ঘোষণা হয়েছিল জিয়াগঞ্জের ছেলে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি পারফর্ম করবেন ইকো পার্কে। তবে গত মাসে আচমকাই প্রকাশ্যে আসে অরিজিতের কনসার্টের অনুমতি বাতিল করেছে হিডকো কর্তৃপক্ষ। শেষমুহূর্তে ইকো পার্কে কনসার্টের অনুমতি না মেলায় মাথায় হাত পড়েছিল আয়োজকদের। কারণ গোটা কনসার্টই কার্যত ‘সোলড আউট’। আয়োজক ‘পেটিএম ইনসাইডার’-এই কনসার্টের সর্বোচ্চ টিকিট মূল্য রেখেছিল ৫০ হাজার, তাও কাটতে পিছপা হয়নি তিলোত্তমার অরিজিৎ ভক্তরা। তারপর থেকেই খোঁজ শুরু হয়েছিল বিকল্প ভেনুর। এবার সেই খোঁজ শেষ।
ﷺআয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারিই অরিজিতের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। রাজারহাটের এক ওয়াটার পার্ক, অ্যাকোয়াটিকায় অরিজিতের কনসার্ট হচ্ছে।' চমকের শেষ এখানেই নয়। এটাই হবে কলকাতায় অরিজিতের সবচেয়ে দীর্ঘ (সময়ের নিরিখে) কনসার্ট। তিন ঘন্টা ধরে পারফর্ম করবেন অরিজিৎ, থাকবে অজস্র বাংলা গান।
🎃অরিজিৎ সিং-এর কনসার্টের অনুমতি বিতর্কে শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘রং দে তো মোহে গেরুয়া’ গেয়েই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছেন গায়ক। যদিও তৃণমূলের দাবি গোটা বিষয়টা নিয়ে ‘নোংরা রাজনীতি’ করছে বিরোধী দল।
✱কী কারণে ইকো পার্কে অনুমতি মেলেনি অরিজিতের কনসার্টের? হিডকোর তরফে বলা হয়েছে বড়মাপের নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের জন্য আগেও ইকোপার্কের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অরিজিত সিং-এর শো-তে এবারেও হবে দারুণ ভিড়। বাড়তি ঝুঁকি সামলাতে হবে প্রশাসন ও ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষকে। তাই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
ܫগত মাসে রাজ্যের মন্ত্রী তথা হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘ইকো পার্কে কখনই অরিজিৎ-এর কনসার্টের অনুমতি দেওয়া হয়নি’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি হিডকোর চেয়ারম্যান, কোনও অনুষ্ঠান হতে গেলে আমার সই লাগে, আমি কোনও অনুমতিপত্রে সই করিনি’।
꧅কথায় আছে যার শেষ ভালো তার সব ভালো! সব বিতর্ক শেষে নির্ধারিত দিনে শহরের বুকে অরিজিতের গান শোনার সুযোগ পেতে চলেছে তাঁর ভক্তরা, এর চেয়ে বড় সুখবর আর কী হতে পারে!