অরিন্দম শীল (Arindam Sil) মানেই গোয়েন্দা সিরিজ বা সিনেমা। এই ধরনের কাজে তিনি রীতিমত হাত পাকিয়েছেন। শুধু তাই নয় উপহার দিয়েছেন একটার পর একটা দারুণ ছবি সিরিজ, সে মিতিন মাসি বলুন বা ব্যোমকেশ কিংবা শবর। থ্রিলার কেন্দ্রিক ছবিতে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন তিনি। এবার নিয়ে✅ এলেন নতুন ফেলুদাকে। আর তাতেඣই যত গোল বেঁধেছে। যবে থেকে দর্শক তাঁর পরিচালনায় নতুন ফেলুদা আর তোপসেকে দেখেছেন তবে থেকেই শুরু হয়েছে ট্রোলিং।
এই সিরিজ মুক্তি পাওয়ার পর তো সব কিছু ছাড়িয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে লিখে যাচ্ছে তাঁদের এই সিরিজ এওকদমই ভালো লাগেনি। কেউ কেউ তো সোজাসুজি পরমব্রত এবং ঋত্বিককে গিয়ে প্রশ্ন করছেন তাঁরা কেন এই প্রজেক্ট করলেন। কেন এত খারাপ মানের কাজ হল। এতদিন এই বিষয়ে পরমব্রত মুখ খুললেও কোনও জবাব পাওয়া যাﷺয়নি পরিচালকের থেকে, এবার তিনিও বললেন সেটা।
আসলে সত্যজি💙ৎ রায়ের (Satyajit Ray) এই গল্পকে তিনি তাঁর মতো সাজিয়েছেন। গল্পে নারী চরিত্র এনেছেন। যেটা একদমই পছন্দ হয়নি দর্শকদের। আর যেহেতু বারবার এক একজন অভিনেতাকে ফেলুদা🍷 (Feluda) হিসেবে দেখা যাচ্ছে সেহেতু সেটাও মানুষ হজম করতে পারছেন না ঠিক। ফলে সবটা মিলিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে এই সিরিজ।
পরমব্রত (Parambrata Chatterjee) আগেই বলেছিলেন একটি সাক্ষাৎকারে যে তাঁরা জানতেন এটা হবে। তাই তাঁরা সমালোচনা শোনার জন্য তৈরি ছিলেন। আসলে বাঙালির কাছে ফেলুদা একটা আবেগ। ফ🤪লে এমন চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে কিছু নেতিবাচক কথা তো শুনতেই হবে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অ𒁃রিন্দম শীল।
আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, 'আমি 𝓀একদমই ব🌺িব্রত নই। কিন্তু অশিক্ষা সহ্য করতে পারি না। অশিক্ষিত হওয়া দোষের নয়, অনেকেই সেই সুযোগ পান না। কিন্তু আমি বলছি তাঁদের কথা যাঁরা কিছু না জেনে, না বুঝে সবজান্তা ভাব করে থাকেন তাঁদের আমার পোষায় না। এঁরা জানেন না বা বোঝেন না যে এক একটা প্রজেক্ট কত রাত জেগে বানাতে হয়। কত খাটুনি খাটতে হয়।'
অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন কেন বারবার ফ🌃েলুদা আর ব্যোমকেশকে নিয়েই সিরিজ, সিনেমা তৈরি হচ্ছে? এই বিষয়ে অরিন্দম শীল বলেন, 'ফেলুদা মানুষের কাছে নস্টালজিয়া সেই কারণেই এই টপিকের উপর কাজ হলে প্রযোজকরা এগিয়ে আসেন। আমি যদি আজ নতুন কোনও গোয়েন্দা গল্প নিয়ে কাজ করতে চাইতাম তাহলে কি আমি এই বাজেট পেতাম? আসলে কোনও বড় প্রজেক্ট করতে গেলে ধক লাগে।
সাবাশ ফেলুদা ছবিটা তিনি সত্যজিৎ রায়ের লেখা গ্যাংটকে গন্ডগোল গল্প অবলম্বনে বানিয়েছেন। অরিন্দম শীল জানিয়েছেন এই সিরিজ প🥀রিচালনার সময় একটা সময় তিনি পরমব্রতকে নির্দেশ দেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন পরম ঠিক বুঝে নেবেন কীভাবে কোথায় অভিনয় করতে হবে। ফলে দুজনের তালমেলে কোনও অসুবিꦚধা হয়নি। অনেকে যখন একদিকে বলছেন পরম ফেলুদা হিসেবে বেমানান তখন আরেকদিকে অরিন্দম শীলের কথায় তিনি পরমের উপর ১০০ শতাংশ ভরসা করেন। তিনি আস্থা রাখেন যে এক সময় লোকে নতুন ফেলুদাকে মেনে নিন।