চ্যানেলের সঙ্গে যুক্তিবদ্ধ প্রযোজকরা, রয়েছে দর্শক ধরে রাখবার চাপও- এই প্রসঙ্গ টেনে করোনা বিধিনিষেধ জারি থাকার মাঝে বাড়ি থেকে শ্যুটিং করা নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রযোজকরা। তাঁদের সাফ কথা, 'কোনও টেকনিশিয়ানকে আম😼রা বঞ্চিত করছি না, ই🐽উনিটের সকলকে টাকা দেওয়া হবে'। প্রযোজকদের এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানানো আর্টিস্ট ফোরাম। যদিও শ্যুট ফ্রম হোম নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ফেডারেশন। এর জেরেই প্রকাশ্যে আর্টিস্ট ফোরাম ও ফেডারেশনের কাজিয়া।
সোমবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার আর্টিস্টস ফোরামের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল সাংবাদিক বৈঠকের। সেখানেই তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিল, করোনা বিধি মেনে বাড়ি থেকে শ্যুটিং নিয়ে কোনও আপত্তি নেই ফোরামের। কিন্ꦰতু সেই দাবি মানতে না-রাজ ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তাঁর সাফ কথা, বাড়ি থেকে শিল্পীরা শ্যুটিং করলে, মেক-আপ আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান, খাবার সরবরাহকারীরা থেকে শুরু করে জুনিয়র আর্টিস্ট🐽 সকলে বঞ্চিত হবেন। ফেডারেশনকে এদের কথাও ভাবতে হয়।
সোমবার অতিমারী আবহে আর্স্টিস্ট ফোরামের তৈরি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির ‘সৌমিত্র’-র প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছিল সওাংবাদিক বৈঠকের। হাজির ছিলেন ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ছিলেন কুশল চক্রবর্তী, অপরাজিতা আঢ্যসহ আরও অনেকে। তাঁদের যুক্তি, কোনও শিল্পী যদি নিজের বাড়িতে কিংবা দু-জন শিল্পী মিলে একসঙ্গে শ্যুট করেন, তাহলে দোষ কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাকালে শুরু থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে উত্সাহিত করছেন। তাহলে শিল্পীদের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম তো হবে না!
আর্টিস্ট ফোরামের তরফে জারি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি ক্ষেত্রে বারবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের উল্লেখ করেছেন। তিনি একবারও বলেননি সব কাজ বন্ধ করে দিতে। ব🃏রঞ্চ বিকল্প রোজগারে উত্সাহ দিয়েছেন। তাঁর সেই দিকনির্দেশকে যখন একপ্রকার অগ্রাহ্য করে কোনও এক স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের জগতের ক্ষতি করতে চাইছে, তখন সমগ্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের স্বার্থে আমাদের ফোরাম প্রতিবাদ জানাতে এবং নিজেদের অবস্থান সকলের কাছে সুস্পষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছে।’
নাম না-করেই ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের দিকে অভিযোগের আঙুল ফোরামের। এই সংবাদিক বৈঠকের কয়েকঘন্টার মধ্যেই পালটা সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বরূপ বিশ্বাস। তাঁর পালটা যুক্তি, ‘আমরা মনে করি না ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর শুট ফ্র💯ম হোম এক বিষয় নয়। এর জন্য একটা মডিউল দরকার হয়। এরকম কিছু করতে গেলে আলোচনা করতে হয়’। প্রয়োজনে সবরমক অসহযোগিতা করা হবে প্রযোজক ও আর্টিস্টদের সঙ্গে, তেমন প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রাখলেন ফেডারেশন সভাপতি। তিনি যোগ করেন, ফেডারেশনকে অন্ধকারে রেখে প্রযোজকরা শ্যুটিং করেছেন, যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। শীঘ্রই গোটা বিষয়ের সুরাহা না হলে ফেডারেশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ, পালটা অভিযোগ♈ের ধারা অব্যাহতই থাকল সোমবার দিনভর। এখন দেখবার টলিগঞ্জের এই শ্যুটিং জট কীভাবে কাটে!