বিয়ে না হলেও, সুখের সংসার শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০২২ সালেই প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের থেকে ডিভোর্স নিয়েছেন বৈশাখী। যদিও বর্তমানে শোভনের নামের সিঁদুর দি🏅য়ে সিঁথি রাঙান বৈশাখী। হাতে শাখা-পলা। সধবা নারীর সবরকম চিহ্ন তাঁর শরীরে বর্তমান। শোভনের গোলপার্কের বহুতলেই একসঙ্গে রয়েছেন তাঁরা বেশকিছু বছর ধরে। সঙ্গে থাকেন বৈশাখী আর মনোজিতের মেয়ে মেহুলও।
তবে খাতায় কলমে এখনও ডিভোর্স হয়নি🥂 শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রত্নার। আর তা না হওয়া অবধি শোভন আর বৈশাখীর সম্পর্ককে ‘সহবাস’-ই বলা চলে। যদিও বৈশাখী জানান, ‘সহবাস’ বা ‘সহযাপন’ কথাটার মধ্যে মাধুর্যই পান তিনি। তিনি মনে করেন তাঁদের ‘সহবাস’-এ কোনও বাধ্যবাধকতা নেই এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। শোভনের উপর বহু বাধ্যবাধ্যকতা চাপান তিনি, যদিও সেটা পুরোটাই শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে। আনন্দবাজারকে এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেন, ‘শোভন চ্যাটার্জীর উপর অধিকার বোধ রয়েছে আমার, শোভন চ্যাটার্জীর সম্পত্তির উপরে নয়’।
বৈশাখীর কথায়, ‘যেভাবে শোভনের চারপাশের মানু♎ষ আমাকে কটু কথা শু🐻নিয়েছে, তাতে আমার এতদিনে এই দরজা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, যদি সহবাস এতটাই সহজ হত। কিন্তু আমার পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। দিনের শেষে শোভনের মুখ আমি ভুলতে পারব না। আরেকটা মুখ চিন্তা করতে পারব না। আমরা সহবাসে আছি কারণ আদালত লম্বা টানছে (ডিভোর্সটা)। শোভনের ৭০ বছরে গিয়ে ডিভোর্সটা হলেও আমরা বিয়েটা করব।’
একাধিকবার মনোজিতের সঙ্গে বিয়ে ভাঙা নিয়ে কথা বলেছেন বৈশাখী সংবাদমাধ্যমে। জানিয়েছেন, বিয়ের আগে থেকেই তাঁর গায়ে হাত তুলতেন শোভন। কারও সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ করতেন। বিয়ের পরও প্রায় প্রতি রাতেই বরের হাতে মার খেতেন। এমনকী, মেয়ে মহুলের জন্মের পরেও অবস্থা বদলায়নি। সেই সময় ‘বন্ধু’ শোভনই সাহস দেয় মনোজিতের বাড়ি ছেড়ে, সেই অন্ধকার পরিবেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার। মাথার তলায় এই ছাদটাও দিয়েছিল শোভনই। অনেকেই সেই সময় শোভনের চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ করেছিল। যাতে ছিল মনোজিতও। কিন্তু বৈশাখীর সঙ্গে ‘সহবাস’ শুরুর পর থেকে কোনও নারীর দিকে ঘুরেও তাকাননি শোভন!🌌 কদিন পর মেহুলও তাঁদের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। আর এখন তো ৩ জনের সুখের সংসার। জন্মদিন থেকে জামাইষষ্টী, লক্ষ্মীপুজো, গণেশপুজো, সরস্বতীপুজো সবই ধুমধাম করে পালন করে মা-মেয়ে। দুজনকে সমানভাবে উৎসাহ দেন শোভন নিজেও। আর পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবিগুলি জায়গা করে নেয় সমাজমাধ্যমে।