বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই তাঁর সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা। কখনই কোনও বিষয়ে রাখঢাক করেননি। বরং খানিক গর্বের সুরেই বলেছেন দাম্পত্য জীবনে থেকে অত্যাচারিত হওয়ার থেকে সহবা♚সে থাকা ভালো। তাঁর কাছে সঙ্গী কেমন এবং ভালো থাকা যে জরুরি সেটা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে এবার একেবারেই অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললেন। শোভন বৈশাখীকে সবসময়ই হাসিখুশি থাকতে দেখা যায়। এর নেপথ্যে কি বিশেষ কোনও কারণ আছে? তিনি তুকতাক করে বশ করেছেন শোভনকে? একই চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁর প💙্রাক্তনের ক্ষেত্রেও? কী জানালেন?
আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানান, 'আমায় আমার এক কলিগ একবার গব্বর সিংয়ের বেল্টের মতো লম্বা তাবিজ দিয়েছিল। ওতে বুলেটের জায়গায় ১৮টা শিকড় ছিল। ওটা পরলেই নাকি মনোজিৎ আর আমার সমস্যা মিটে যেত। ও আ𓆉মার বশে চলে আসত।' তিনিꩲ একই সঙ্গে জানান, 'আমার হাতে ওটা দেখে মনোজিৎ আদ্যিকালের ধ্যান ধারণা বলে মন্তব্য করে। কিন্তু আমি তখন ওকে বলি, তাহলেই ভাবো তুমি কেমন ভাবমূর্তি বানিয়ে রেখেছ যে তোমার এই পাশবিক রূপ দেখে লোকজন আমায় এসব দিচ্ছে।'
বৈশাখী জানান তিনি হাসিখুশি থাকেন বলে অনেকেই ভাবেন যে কবজ তাবিজ করেন। তাঁদের ধারণা তুকতাক করেই নাকি তিনি তাঁর বরকে হাতে রাখেন। তবে তাঁর মতে,ꦗ 'আমায় একজন বলেছিল, বৈশাখী তুই যত কষ্টই পাক দুঃখের কথা প্রকাশ্যে আনবি না। তুই তোর হেরে যাওয়ার কথা বললে আরও ১০০ জন হেরে যাবে। তাই আমি ভালো থাকি।'
আরও পড়ুন: 'আমি এই বাড়ির কর্ত্রী নই', শোভনের সংসারের রাশ বৈশাখী🐓 নয়, অন্য নারীর হতে! কে সে?
আরও পড়ুন: 'ও মহুলের বাবার থেকেও বেশি'𝕴, বললেন বৈশাখী, ডটার্স ড♑ে'তে মেয়েকে কী বিশেষ উপহার দিলেন শোভন?
তিনি কথা প্রসঙ্গে আরও জানান, 'আমি একবা♐র শোভনকে বলেছিলাম যে এসব পুরুষের জন্য আমার কবজ তাবিজ লাগে না। আমার মতো মেয়েরা একাই থাকতে পারে। বরং এঁদের দূরে রাখার জন্য যদি কোনও পাথর থাকে সেটা নিজের চারপাশে বিছিয়ে নেব।'
আপাতত তিনি অতীতের গ্লানি, দুঃখের দিন ভুলে সন্তান এবং আদরের দুষ্টুর সঙ্গে থাকছেন। তাঁর এবং শোভনের এই সহবাসে তাঁর কোনও গ্লানি নেই বলেই জানান। এমনকি তাঁর বন্ধুরাও তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলেই দাবি করেন বৈশাখী। জানান 'ওঁরা আমাদের বিয়ের জ𒁃ন্য অপেক্ষা করে আছে। বলে আমাদের বিয়েতে অনেক মজা করবে। আসলে এখন সমাজ বদলাচ্ছে। সবাই এটা মেনে নিচ্ছে।'