অনেকেই হয়তো খেয়াল করে দেখেন ফেসবুকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রোফাইলের নাম ‘বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়’। বছরখানেক আগেও শুধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নামেই তি🅷নি ছিলেন ফেসবুকে। তবে ২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ হঠাৎই নিজের নামের সঙ্গে ‘শোভন’ জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। ꦕতা জানেন, হঠাৎ কেন এমন কাণ্ড?
এমনিতেও এ♍কে-অপরের প্রেমে হাবুডুবু খ🍰ান শোভন-বৈশাখী। একে-অপরকে চোখে হারান বললেও ভুল হবে না। গত বছরই মনোজিতের সঙ্গে অফিসিয়ালি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বৈশাখীর। আপাতত তিনি একা। যদিও রোজ নিয়ম করে শোভনের নামের সিঁদুর দিয়ে রাঙান সিঁথি। পরেন মঙ্গলসূত্র। এদিকে শোভন জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের থেকে ডিভোর্স নেওয়ার। দুজনেরই ইচ্ছে, শোভনের অফিসিয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেলেই তাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।
ফেসবুকে নিজের নামের সঙ্গে শোভনের নাম জোড়ার সিদ্ধান্ত ছিল বৈশাখীর একান্ত নিজস্ব। সেই সময় বৈশাখীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘শোভনের পদবিটা রত্নাই ব্যবহার করুক না হয়। আমি🍸 আমার পিতৃদত্ত পদবিটাই ব্যবহার করব। শুধু সঙ্গে শোভনের নামটা জুড়ে নিলাম।’
বৈশাখী সেই সময় পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, শোভন সোশ্যাল মিডিয়ায় সচ্ছন্দ নন। সেকারণেই সোশ্যালে তাঁর নাম জুড়ে নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। যেখানে কেউ প্রয়োজন পড়লে নির্দিধায় শোভনের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন। এবার দুজন মিলে চালাবেন এই প্রোফাইল। ফেসবুক প্রোফাইলের কভার🔥 ফোটো থেকে প্রোফাইল পিকচার দুটোতেই সদাহাস♋্য দুটি মুখ।
বৈশাখীর সঙ্গে শোভনের গোলপার্কের এই ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর মেয়ে মহুলও। ভালোবেসে মহুল আর শোভন একে-অপরকে দুষ্টু বলে ডাকে। বৈশাখী জানিয়েছেন, ত𒁃াঁর মেয়েকে নিজের সন্তানের মতোই আপন করে নিয়েছেন🐻 শোভন। মহুলেরও শোভনের প্রতি খুব টান। বাড়িতে থাকলে দুজনে বেশিরভাগ সময়টা একইসঙ্গে থাকেন। খেলা করেন, গল্প করেন। এমনকী, মহুলকে রাতে ঘুমও পাড়ান শোভন।
শোভন একবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘মহুল স্কুলে গেলেই বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যায়। ও বাড়িতে ফিরলেই আবার ঘরগুলো ভ𒈔রে ওঠে। রাতে মহুল ঘুমোতেও আসে আমার কাছে। তবে অনেকসময় এরকম হয় মহুলকে ঘুম পাড়িয়ে আমি আর বৈশাখী আলাদা ঘরে গিয়ে ওয়েব সিরিজ দেখতে বসে যাই। তারপর দেখা যায় আমরা যখন গ🃏োটা সিরিজটা শেষ করে ঘুমোতে যাচ্ছি, তখন হয়তো মহুল ঘুম থেকে উঠছে।’
🐟শোভন-বৈশাখীর কথা থেไকেই স্পষ্ট মহুলকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার।