বর্তমানে একসঙ্গে নাম উচ্চারণ হয় শোভন আর বৈশাখীর। দুটি পৃথক মা🐭নুষ হলেও জড়িয়ে গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটা। গত বছর এপ্রিল মাসে প্রাক্তন স্বামী মনোজিত মণ্ডলের থেকে পাকাপাকি ডিভোর্স নিয়েছেন। এখন শোভনের সঙ্গেই গুছিয়ে সংসার করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে জন্মদিন থেকে পুজো, সবটা পালন করেন একসঙ্গে, থাকে বৈশাখী-কন্যাও।
এর আগে বিজয়া দশমীতে মা দুর্গার সামনে এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে দেবীবরণ করার পর শোভন সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন বৈশাখীর সিঁথিতে। সেইসময় বৈশাখীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘স্বীকৃতির অভাব আমাদের মধ্যে কোনওদিন ছিল না। ছিল আসলে সমাজের। সমাজ এটাও দেখছে আমাদের মধ্যে সততার কোনও অভাব নেই। আমরা দুটো প্রাণহীন সম্পর্ককে টেনে না নিয়ে গিয়ে আমরা সেটাকে শেষ করে আমাদের যেখানে আনন্দ, যেখানে শান্তি সেটাকে খুঁজে নিয়েছি। হয়ত এটা দর্শকদের কাছে🐽 নতুন অনুভূতি। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করি, আপনারা স্বাভাবিক আঙ্গি𓂃কে দেখলে ভালো লাগবে’।
যদ𒁃িও বৈশাখীর আইনি বিচ্ছেদ হলেও, এখনও শোভন খাতায়-কলমে রত্না চট্টোপাধ্যায়েরই স্বামী। ইমেজ বেঙ্গলকে সম্প্রতি বৈশাখী এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ‘ঘটা করে আমি আর শোভন বিয়েটা করবই। আমাদের পরিকল্পনা আছে। যদি কেউ ২২ বছর ঘুরিয়ে দেয় ওর তখন ৮০ হয়, আর আমার ৬৫, তাহলেও বিয়🦄েটা হবে।’
বৈশাখী জানালেন, তিনি শোভনের নামেরই সি❀ঁদুর পরেন। আর তাঁকে এভাবে সিঁদুর পরে দেখতে পছন্দ করেন শোভন। একদিন মনোজিত তাঁকে খুব অপমান করেছিলেন সিঁদুর পরা নিয়ে। তা বেশ কিছু বছর আগের কথা। সেই সময় বাড়ি থেকে রাগের চোটে সিঁদুর না পরেই বের হয়ে যান তিনি। শোভন সেদিন প্রশ্ন করেছিলেন দেখেই, কেন সিঁদুর পরেননি তিনি। মনো🅘জিতের মুখের কথায় মনে আঘাত পেয়েছেন বৈশাখী, তাই সিঁদুর পরা ছেড়েছেন জানতে পেরে বলে উঠেছিলেন, ঠিক আছে আজ থেকে তুমি আমার নামে সিঁদুর পরবে। আর সেদিনের পর থেকে সেটাই করে আসছেন।
সঙ্গে মজার ছলে জানান, মাঝেমাঝে শোভনে༒র উপর রাগ হয়ে গেলে সিঁদুর পরেন না। গলায় মঙ্গলসূত্র পরেন না। আর শোভন তখন বৈশাখীর মেয়েকে বারবার বলতে থাকেন, যা মা-কে গিয়ে বল সিঁদুর পরতে, মঙ্গলসূত্র পরতে।&nbs♑p;
বৈশাখীর কথা, শোভঙন য𓆉দি তাঁকে বিয়ে করতে না চেতেন, বা সম্পর্কটাকে নামহীন রাখতে চাইতেন, তবে সেই সম্পর্কে তিনি কখনোই থাকতেন না। শোভনের সঙ্গে বৈশাখীর থাকার কারণ কখনোই একজন ক্ষমতাশীল মানুষের ছত্রছায়ায় থাকা নয়। বরং একটা মানুষকে ভালোবেসে, তাঁর সঙ্গে জীবনটা কাটাতে চাওয়া। আমরা সিরিয়াস বলেই শোভনের শরীরখারাপ থাকা সত্বেও ডিভোর্স কেসটায় আমরা এতটা জোর দিচ্ছি।