রঙের উত্সবের আনন্দ পরিবারের আর প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে না নিলে, বছরটাই তো বেরঙিন। তাই করোনা যতিই শরীরে বাসা বাঁধুক না কেন, স্ত্রীর সঙ্গে হোলি খেলবার উপায় ঠিক বাতলে ফেললেন মিলিন্দ সোমন। আইসোলেশনে থাকাকালীন কীভাবে স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ারের সঙ্গে রঙ খেললেন মিলিন্দ? সেই উত্তরও মিলেছে তারকার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। পিপিই কিট পরে স্বামীর সঙ্গে রঙ দেখলে আসেন অঙ্কিতা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হোলির শুভেচ্ছা বিনিময় না করতে পারলেও রঙ অন্তত লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয়, উপহার হিসাবে স্বামীর জন্য মরসুমের প্রথম আমও নিয়ে এসেছিলেন অঙ্কিতা। সেই সব ছবি শেয়ার করে মিলিন্দ লেখেন, ‘নিভৃতবাস। ৭ নম্বর দিন। আমার এ রকম গম্ভীর হয়ে থাকা একদম উচিত নয়। কারণ অঙ্কিতা আস্ত একটা পিপিই পরে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং আমার জন্য মরসুমের প্রথম আমও এনেছিল। ওকে যদিও জড়িয়ে ধরতে পারিনি। আমরা সামান্য রং মেখেছি এবং মায়ের পাঠানো পুরাণ পুলি খেয়েছি’। এই পোস্টে মিলিন্দ নিজের শারীরিক পরিস্থিতির আপটেডও দিয়েছেন। তিনি জানান, অঙ্কিতার উপহার দেওয়া আলফানসো আমের স্বাদ ও গন্ধ তিনি অনুভব করতে পারেনি। তবে খুব বেশি শারীরিক সমস্যা নেই, জ্বর, ব্যাথা, মাথাধরার মতো কোনও সমস্যাই দেখা দেয়নি। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই ঘুমিয়ে কাটানোর চেষ্টা করছেন শারিরীক ও মানসিক সুস্থতার জন্য , জানান ৫৫ বছর বয়সী এই প্রাক্তন সুপার মডেল।গত ২৫শে মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মিলিন্দ। হোক না দু’জনের মধ্যে বয়সের বিস্তর ফারাক, তাতে কী বা আসে যায়? প্রেম থাকলে বয়সকে থোড়াই কেয়ার! সেকথা হোলির উত্সবেও প্রমাণ করে দিয়েছেন মিলিন্দ সোমান ও অঙ্কিতা কোনওয়ার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই জুটির প্রেমে মাখামাখি ছবি হোক বা কথোপকথন, সবসময়ই তা নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এবারও ঠিক তেমনটাই ঘটল। পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ের পর্ব সারেন এই জুটি। মিলিন্দের থেকে বয়সে ২৪ বছরের ছোট অঙ্কিতা কোনওয়ার।