চেহারা মোটা হলে ‘হাতি’ আর 🅠রোগা হলে ‘তালপেতার সেপাই’-- ছোট থেকে এরকম কথার সম্মুখীন আমরা কমবেশি সকলেই। বিয়ে হবে না থেকে শুরু করে, এই পোশাক মানায় না, এরকমভাবে বসা যাবে না… কত কথাই না শুনতে হয় মেয়েদের। বিশেষ করে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে। যেখানে মডেল বা অভিনেত্রী বলতেই সকলের মাথায় আসে রোগা ছিপছিপে, ফর্সা, লম্বা, সুন্দরী। কিন্তু সত্যিই কি চেহারার মাপকাঠি দিয়ে শিল্পে কারও প্রবেশ আটকে রাখা যায়? মুখ খুললেন টলিগঞ্জের তিন পর𓃲িচিত মুখ দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্ঘশ্রী সিন্হা, অরিজিতা মুখোপাধ্যায়।
সঙ্ঘশ্রী বললেন, ‘যখন আমরা দেখাই কোনও পরী আসছে আকাশ থেকে তাঁকে ভীষণই ফরসা, খুবই রোগা আর লম্বা চুল। এটা কে এঁকেছে আমি জানি ন🃏া। যে এঁকেছে তাঁর সঙ্গে আমার কথা বলতে হবে’। অরিজিতা বললেন, ‘মোটাকে মোটা বলতেই পারেন, আমার তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু অপমান করা হলে আমার তাতে সমস্যা আছে।’
দেবশ্রী নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে জানান, ‘অভিনয়ে আসার আগে আমি কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে ছিলাম। তো ওখানে একজন আমার সিনিয়র বস একটা কমেন্ট করেছিলেন যেটা আমি পরে লোকের মুখ থেকে জানতে পারি। আমাকে সাদা হাতি বলা হয়েছিল। আজকে যদি উনি আমার এই সাক্ষাৎকারটা দেখেন💯, তাহলে উনি কিন্তু সেই চাকরিটাই করছেন। সেই একই জীবন কাটাচ্ছেন। আমি কিন্তু নিজের জীবনে অনকেটা এগিয়ে গিয়েছি।’
অর🦩িজিতার খাওয়া নিয়ে কটাক্ষে সহাস্য জবাব, 🧜‘আমরা বেশি খেতেই পারি। কিন্তু আপনার টাকায় তো খাচ্ছি না।’
সঙ্ঘশ্রীর মোটা নিয়🥃ে কটাক্ষে বললেন, ‘যেই মাসি আমাকে বলেছিলেন এত মোটা তো♕কে কে বিয়ে করবে বল তো, সেই মাসিকে- ‘হাই মাসি! এই যে আমি বসে আছি। আর এটাই আমার তোমাকে জবাব’।’’
পরিচালক অরিত্র মু𒀰খোপাধ্যায়ের ফাটাফাটি ছবির প্রোমোশনেই এই ভিডিয়ো বার্তা। বাচস্পতি ভাদুড়ি আর ফুল্লরা ভাদুড়ির গল্প আসছে বড় পর্দায়। প্রযোজনায় নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ মে মাসে ছবির হলে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। মোটা চেহারায় কি সত্যিই র্যাম্প মাতানো যাবে তাঁরই জবাব দেবে এই সিনেমা। ছবির জন্য প্রায় ২৫ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছে নায়িক♔া ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। ছবিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )